বাতায়ন/সাপ্তাহিক/প্রবন্ধ/৩য় বর্ষ/১৩তম সংখ্যা/৩০শে
শ্রাবণ, ১৪৩২
প্রবন্ধ
হীরক
বন্দ্যোপাধ্যায়
মহাজাগতিক
কবি আলোক সরকার আর তার অনন্য কবিতা
[২য় পর্ব]
"বৈশাখ দুপুরে একা / তোমার গোপন চিঠি হাতে নিয়ে খররৌদ্রে যাব / তোমার প্রেমিক তার বাড়ি। বলব বিকেলে হবে দেখা / বড় রাস্তার পাশে তুমি তার অপেক্ষায়।"
[পূর্বে প্রকাশিতের পর]
যতদিন সে না ফেরে / পবিত্র মানুষদের জন্য।
এই কবির কাব্যচর্চা যারা
দীর্ঘকাল অনুসরণ করেছেন তারা জানেন কবিতাকে বিষয় থেকে বিষয়হীন করে দেওয়ার ক্ষেত্রে
তার জুড়ি মেলা ভার। উতল নির্জন, আলোকিত সমন্বয়, অন্ধকার উৎসব, বিশুদ্ধ অরণ্য, অমূলসম্ভব রাত্রি এই সব কাব্যে তার গভীর সাধনার নিবিড়তা
সর্বক্ষেত্রে অভিব্যক্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ইগো
সেন্ট্রিসিটির প্যারাডাইম শিফট ঘটেছে। সংস্কারের বাঁধনগুলি শিথিল হয়েছে। শৈলী ও
প্রথার প্রাচুর্য ক্রিয়াশীল এবং চিরজাগরুক তার লেখায়। এক উজ্জ্বল এবং স্থিতধী
সচেতনতা তার হৃদয় সঞ্জাত।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক
অশোক মিত্র আলোক সরকারের কবিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন:
থেমে-থেমে, থেকে-থেকে, কবিকে উপলব্ধি করতে
হয় মনন বোধ ও মজ্জায়। তার কবিতায় পাওয়া যায় বেদ উপনিষদের শান্ত ব্যাপ্ত গভীর
প্রজ্ঞা । হৃদয়কে আচ্ছন্ন করে এমনভাবে জারিত করে, যার মধ্যে উপলব্ধি করি এক স্বর্গীয় সুষমা। তারপর তার নীল আলো সমস্ত
অন্তর জগতকে করে তোলে আবিষ্ট ও আপ্লুত। আলোক সরকারের সৃষ্ট কবিতাগুলি মরমী
প্রজ্ঞার আশ্চর্য এক বিস্ময়কর অনুরণন,
যা
কিন্তু ব্যাখ্যাতীত।
...চিরদিন আজ্ঞাবহ থেকে যাব। বৈশাখ দুপুরে একা / তোমার গোপন
চিঠি হাতে নিয়ে খররৌদ্রে যাব / তোমার প্রেমিক তার বাড়ি। বলব বিকেলে হবে দেখা / বড়
রাস্তার পাশে তুমি তার অপেক্ষায়। সমস্ত দুপুরবেলা / পথে পথে ওড়াবে নিস্পৃহ ধুলো, ক্লান্ত কাক ঘূর্ণিফল গাছে।...
অংশ # বিশুদ্ধ
অরণ্য
বিশুদ্ধ অরণ্যে আর একটি
কবিতা যা উল্লেখ না করলে লেখাটি সম্পূর্ণ হবে না।
...তোমরা সব এসে দেখে যাও, আমার ছাদের / গোপন টবেতে আজ গোলাপ ফুটেছে / সম্পূর্ণ আকাশ, মেঘ ভেসে যায়, ফাল্গুন মাসের /
হাওয়া। তোমরা এসে দেখে যাও। /
দশটি পাপড়ি গাঢ় নির্নিমেষ একাগ্র জেগেছে...
রাজকন্যা # বিশুদ্ধ অরণ্য
ক্রমশ
No comments:
Post a Comment