বাতায়ন/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/১৪তম/মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা/২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২
কবিতাগুচ্ছ | মণিজিঞ্জির সান্যাল | দীর্ঘরেখা
কবি-পরিচিতিসহ
কবিতাগুচ্ছ
মণিজিঞ্জির সান্যাল
দীর্ঘরেখা
কবি-পরিচিতিসহ
কবিতাগুচ্ছ
মণিজিঞ্জির সান্যাল
"পাখি এবং গাছদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসেন। ভাল লাগে খোলা আকাশের মাঝে উড়ে যাওয়া পাখিদের দেখতে। আরও ভাল লাগে পাখিদের কলকাকলি শুনতে। গাছ খুব প্রিয়, সবুজকে আঁকড়েই তার ভাল থাকা এবং বেঁচে থাকা।"
নৈঃশব্দ মোড়া জঙ্গল চা-বাগান
রাত গভীর, নিস্তব্ধ নিশ্চুপ
তোমার শরীরী ঘ্রাণ, নিভৃত আলাপন
জ্যোৎস্নার চাঁদ যেন নতুন
কথা না বলা বেশি বলা
ধীরে ধীরে খাদ বেয়ে, অতি ধীরে
প্রিয় চা-পাতার প্রান্তরে ঘুমচ্ছে রাতের ঘুম
জঙ্গল থেকে জঙ্গলে
কুয়াশার চাদর সরিয়ে
নিষ্পাপ আকর্ষণ
আমার ভালবাসা
আমার অভিমান
হাতির দঙ্গল তখন কুয়শা গায়ে নিশিযাপন
বড় আপন এই সময়
কোমল স্পর্শ
ভালবাসা
বনে আঘাতের প্রতিশব্দ নেই
নেই হিংসে প্রতিহিংসের দাবানল
জ্যোৎস্নামাখা শরীর
বিন্দু বিন্দু শিশির
স্থির দাঁড়িয়ে আমার পাশে
প্রিয় প্রহরী
দীর্ঘরেখা
আমি একা নই...
সংক্ষিপ্ত
কবি-পরিচিতি
মণিজিঞ্জির সান্যাল
দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি
শহরে মে মাসের ১৩ তারিখে ( বৈশাখের ২৯ ) জন্ম। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর
মণিজিঞ্জির সান্যাল ধ্রুপদী নৃত্য প্রভাকর।
আদ্যন্ত প্রকৃতিপ্রেমী মণিজিঞ্জির সময় পেলেই ছুটে যান পাহাড়ি ঝর্ণার ধারে, চা বাগানে বা জঙ্গলের একবারে শেষপ্রান্তে। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা লেখালেখি এবং পড়াশোনার মাঝে নিজেকে যুক্ত রেখেই জীবনের আনন্দ খুঁজে পান এবং এভাবেই তিনি জীবনকে ভালবাসেন। টুকরো-টুকরো মুহূর্তগুলো নিয়েই বেঁচে থাকতে ভালবাসেন এবং এর মধ্যেই তিনি খুঁজে পান লেখার রসদও।
দেশ, সানন্দা, আনন্দবাজার, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, নন্দন, শিলাদিত্য, নবকল্লোল, যুগশঙ্খ, শুকতারা, কিশোর ভারতীসহ অসংখ্য ছোট পত্রিকা ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত লিখে চলেছেন। যেমন, কানাডা, বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক, নরওয়ে, কুয়েত প্রমুখ দেশে ধারাবাহিকভাবে লিখছেন উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ সাহিত্য, প্রবন্ধ। এছাড়া কবিতাও। লেখা শুরু ক্লাস ওয়ান থেকে।
পাখি এবং গাছদের সঙ্গে সময়
কাটাতে ভালবাসেন। ভাল লাগে খোলা আকাশের মাঝে উড়ে যাওয়া পাখিদের দেখতে। আরও ভাল
লাগে পাখিদের কলকাকলি শুনতে। গাছ খুব প্রিয়,
সবুজকে
আঁকড়েই তার ভাল থাকা এবং বেঁচে থাকা।
এছাড়াও নীরবে নিস্তব্ধে, সকলের অজান্তে অনাথ বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি ভালবাসেন। বুদ্ধদেবের কথা ও বাণী অনুপ্রাণিত করে তার যাপনকে, প্রতিদিনের জীবনকে। মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিটি কথাকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন। সর্বক্ষণের সঙ্গী বলতে কবিগুরু। রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি গান তার প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী।
সৃষ্টি করেছেন নিজের মতো একটা
জগৎ যেখানে নেই কোনও হিংসে,
নেই কোনও বিষাক্ত
প্রতিযোগিতা, আছে শুধুই ভালবাসা।
রবীন্দ্রনাথের গান তার অবসরের বিনোদন। লেখার জন্য জীবনে এসেছে বিভিন্ন পুরস্কার
এবং সম্মাননা। তবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার পাঠকের ভালবাসা, তাদের মূল্যবান মতামত।
প্রকাশিত বই :
উপন্যাস:
কমলালেবুর রস নোনতা ( ২০২০ )
ঢেউয়ের পরে ঢেউ (২০২২ )
ডলি ( ২০২২ )
গল্প সংকলন :
একটুকু ছোঁয়া লাগে ( ২০০৯ )
স্বপ্নের পৃথিবী ( ২০১২ )
সমুদ্র তোমার সঙ্গে ( ২০১৮ )
গুড ইভনিং আমি প্রিয়র্শিনী বলছি ( ২০২৪)
ছোটদের গল্প সংকলন :
অতৃপ্ত আত্মার সঙ্গে ( ২০১৪ )
ছোটদের সেরা বারো ( ২০২৫ )
কিশোর উপন্যাস :
টয়ট্রেনের রহস্য ( ২০২৪ )
নৃত্য বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ :
নৃত্যের তালে তালে ( ২০২৪ ) :
হাজার হাজার বছরের নৃত্যের ইতিহাস
কাব্যগ্রন্থ:
ভালোবাসার গোপন দরজা ( ২০১৬ )
মাটির কাছাকাছি ( ২০১১ )
ভিন্নধর্মী বই :
সম্পর্কের পরিচর্যা ( ২০১৮ ) :
প্রেম - অনুভূতি - ভালোবাসা
কথা না বলা বেশি বলা
ধীরে ধীরে খাদ বেয়ে, অতি ধীরে
প্রিয় চা-পাতার প্রান্তরে ঘুমচ্ছে রাতের ঘুম
জঙ্গল থেকে জঙ্গলে
কুয়াশার চাদর সরিয়ে
নিষ্পাপ আকর্ষণ
আমার ভালবাসা
আমার অভিমান
হাতির দঙ্গল তখন কুয়শা গায়ে নিশিযাপন
বড় আপন এই সময়
কোমল স্পর্শ
ভালবাসা
বনে আঘাতের প্রতিশব্দ নেই
নেই হিংসে প্রতিহিংসের দাবানল
জ্যোৎস্নামাখা শরীর
বিন্দু বিন্দু শিশির
স্থির দাঁড়িয়ে আমার পাশে
প্রিয় প্রহরী
দীর্ঘরেখা
আমি একা নই...
মণিজিঞ্জির সান্যাল
আদ্যন্ত প্রকৃতিপ্রেমী মণিজিঞ্জির সময় পেলেই ছুটে যান পাহাড়ি ঝর্ণার ধারে, চা বাগানে বা জঙ্গলের একবারে শেষপ্রান্তে। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা লেখালেখি এবং পড়াশোনার মাঝে নিজেকে যুক্ত রেখেই জীবনের আনন্দ খুঁজে পান এবং এভাবেই তিনি জীবনকে ভালবাসেন। টুকরো-টুকরো মুহূর্তগুলো নিয়েই বেঁচে থাকতে ভালবাসেন এবং এর মধ্যেই তিনি খুঁজে পান লেখার রসদও।
দেশ, সানন্দা, আনন্দবাজার, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, নন্দন, শিলাদিত্য, নবকল্লোল, যুগশঙ্খ, শুকতারা, কিশোর ভারতীসহ অসংখ্য ছোট পত্রিকা ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত লিখে চলেছেন। যেমন, কানাডা, বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক, নরওয়ে, কুয়েত প্রমুখ দেশে ধারাবাহিকভাবে লিখছেন উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ সাহিত্য, প্রবন্ধ। এছাড়া কবিতাও। লেখা শুরু ক্লাস ওয়ান থেকে।
এছাড়াও নীরবে নিস্তব্ধে, সকলের অজান্তে অনাথ বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি ভালবাসেন। বুদ্ধদেবের কথা ও বাণী অনুপ্রাণিত করে তার যাপনকে, প্রতিদিনের জীবনকে। মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিটি কথাকে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন। সর্বক্ষণের সঙ্গী বলতে কবিগুরু। রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি গান তার প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী।
কমলালেবুর রস নোনতা ( ২০২০ )
ঢেউয়ের পরে ঢেউ (২০২২ )
ডলি ( ২০২২ )
একটুকু ছোঁয়া লাগে ( ২০০৯ )
স্বপ্নের পৃথিবী ( ২০১২ )
সমুদ্র তোমার সঙ্গে ( ২০১৮ )
গুড ইভনিং আমি প্রিয়র্শিনী বলছি ( ২০২৪)
অতৃপ্ত আত্মার সঙ্গে ( ২০১৪ )
ছোটদের সেরা বারো ( ২০২৫ )
টয়ট্রেনের রহস্য ( ২০২৪ )
নৃত্যের তালে তালে ( ২০২৪ ) :
হাজার হাজার বছরের নৃত্যের ইতিহাস
ভালোবাসার গোপন দরজা ( ২০১৬ )
মাটির কাছাকাছি ( ২০১১ )
সম্পর্কের পরিচর্যা ( ২০১৮ ) :
প্রেম - অনুভূতি - ভালোবাসা
প্রিয় কবি একজন গুণী মানুষ। তার সৃষ্টি সম্ভার বেশ উন্নত মানের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সহজ সরল পথে তার এই বিচরণ পাঠক মহলে সাড়া জাগাবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। একটি কবিতা পড়ে কবির মূল্যায়ন করা যায় না। ভবিষ্যতে ভালো কবিতা উপহার হিসেবে বাতায়ন আমাদের উপহার দিবে এই আশা করি। প্রিয় কবির জন্য শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteশুভেচ্ছান্তে আবদুস সালাম
অসাধারণ ভাষা, দৃশ্যকে নৈবেদ্যর মতো থালি সাজিয়ে তুলে ধরেছে মুখের কাছে।। খুব খুব ভালো লাগলো।। বহুদূর পাল্লার পথিক।। দিদিভাই আগিয়ে যান.. শুভকামনা রইল।।
ReplyDelete