বাতায়ন/কবিতা/৩য় বর্ষ/১৪তম/মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা/২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | কবিতা
যাদব দাস
পতন
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | কবিতা
যাদব দাস
খিদে পাতালমুখী।
সোজা নেমে যায় খাদে,
বলত বাবা।
শীর্ণ দেহ, কুঞ্চিত গাল, সেঁধিয়ে যাওয়া পেট,
ক্ষমাস্নিগ্ধ দুটো চোখ ছিল ওর
মধ্যেই দেখার মতো।
আজীবন সুর, তাল, ছন্দ মেপে গাওয়ার চেষ্টা করে
দিনশেষে যেটুকু জুটত তাতে আমাদের পেট শান্ত হলেও
খরাক্লিষ্ট গাছের মতো একটু একটু করে হারিয়ে যেত সে।
বুঝতাম, পেটের আগুন পুড়িয়ে খাক করে আস্ত একটা জীবন,
খিদের কোনও বেদ নেই, নেই কুরআন, পতালমুখী তার গতি,
সেই ঝটকায় একদিন কক্ষচ্যুত
তারার মতো খসে পড়ে সব।
বাবাও সেদিন...
সেদিন মদমত্ত রোদ, কাচের মতো আলো।
বেরিয়েছিল নিত্যকার যাপনচিত্রে সেদিনের রংতুলি নিয়ে
সেই তো একমুখী জীবন
একটা পুরোনো বক্স, বহু ব্যবহারে জীর্ণ মাইক্রোফোন
একটা সেকেলে পেনড্রাইভ
কারাওকে ট্র্যাকে কিছু পরিচিত গান
বেচার মতো এই ছিল বাবার সম্বল
অশ্রু বেচে সংসার নামে একটা শাখাপ্রশাখাময় গাছে জলদান।
অশ্রু সওদা করতে করতেই নেমে গেল মেঘাচ্ছন্ন এক স্টেশনে,
একা।
আমরা দুই ভাই, এক বোন,
আর আমাদের মা, যিনি এখনও লক্ষ্মীবারে পাঁচালি আওড়ান,
রোজ শিকড়ের মতো নেমে যাচ্ছি
পাতালে,
নাগালহীন এক সুড়ঙ্গপথে—
খিদে।
আজীবন সুর, তাল, ছন্দ মেপে গাওয়ার চেষ্টা করে
দিনশেষে যেটুকু জুটত তাতে আমাদের পেট শান্ত হলেও
খরাক্লিষ্ট গাছের মতো একটু একটু করে হারিয়ে যেত সে।
বুঝতাম, পেটের আগুন পুড়িয়ে খাক করে আস্ত একটা জীবন,
বাবাও সেদিন...
সেদিন মদমত্ত রোদ, কাচের মতো আলো।
বেরিয়েছিল নিত্যকার যাপনচিত্রে সেদিনের রংতুলি নিয়ে
সেই তো একমুখী জীবন
একটা পুরোনো বক্স, বহু ব্যবহারে জীর্ণ মাইক্রোফোন
একটা সেকেলে পেনড্রাইভ
কারাওকে ট্র্যাকে কিছু পরিচিত গান
বেচার মতো এই ছিল বাবার সম্বল
অশ্রু বেচে সংসার নামে একটা শাখাপ্রশাখাময় গাছে জলদান।
অশ্রু সওদা করতে করতেই নেমে গেল মেঘাচ্ছন্ন এক স্টেশনে,
No comments:
Post a Comment