দেশের অত্যধিক প্রতিযোগিতার
ফসল না হতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল সেই মেয়ের। কিন্তু...?
স্কুলের ছেলেমেয়েদের ফ্রি মিক্সিংটাতে নিজেকে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না। পড়াশুনার গল্প ছেড়ে সব মেয়েরা খালি ছেলেদের গল্প করতে ভালবাসে, শুধু ভালবাসেই নয়, সঙ্গে থাকে দুর্দান্ত সব সেক্সের গল্প, যা দেশ থেকে সদ্য আসা একটা কিশোরী মেয়ের কাছে একেবারে বোমা ফাটার মতন। দু-একজন ছাড়া প্রায় সব মেয়েই ছেলেদের নিয়ে আলোচনাটাই বেশি গুরুত্ব দেয়। যেটা পলির মোটেই পছন্দ নয়। দেশ থেকে সদ্য আসার জন্য না অন্য কিছু তাকে বাধা দেয়? মা-বাবার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতেও যেন তার স্বভাবে বাধে। তাই বাড়িতে এসে পড়ার টেবিলে স্কুলের বান্ধবীদের কথোপকথন মনটাকে বড্ড বেশি নাড়া দেয়। সে তো কিছুই বোঝে না ওদের কথাবার্তা।
আজকে স্কুলের ক্লাসটাকে সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না। শেষ ক্লাসে বিকেল ৩-টের সময় সুইমিং কস্টিউম পরে তার উপরে লম্বা লম্বা বিভিন্ন রঙের তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে এল একদল মেয়ে। করিডোরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল সুইমিং ক্লাস নেওয়া কিছু ছেলেও।
স্কুলের পিছনে ইনডোর সুইমিং পুলটা। মাঝারি পুল ৪০ ফুট চওড়া। ১৪০ ফুট লম্বা। ড্রাইভ দেওয়ার জন্য বোর্ড রয়েছে তিন থাক। চারপাশে এখানে-ওখানে ছিটানো আছে লাউঞ্জিং চেয়ার। পুলটা এমনভাবে তৈরি যে বিকেলের পড়ন্ত রোদ এসে স্কাইলাইট থেকে বিছিয়ে থাকে স্বচ্ছ নীল জলে।
পলির সুইমিং জানা থাকায় একটু সুবিধা ছিল। তাও একবার তাকে লেশন নিতে হয়েছে, এটাই স্কুলের নিয়ম। গায়ের ওপরের তোয়ালে খুলে মেয়েরা তাদের যোগ্যতা মতো ভাগে ভাগে পরপর তিনটে তাক থেকে সমারলস্ট ড্রাইভ দিয়ে নামল সুইমিং পুলে, তাদের মধ্যে পলিও মিশে গেল। ভুউউউশ করে ভেসে উঠল ৩০ ফুট দূরে। কেউ আবার লম্বালম্বি ওপারে চলে গেল ফ্রি স্টাইল সাঁতার কেটে। ফিরে এল ব্রেস্ট স্ট্রোক দিয়ে। তারপর আয়েস করে ব্যাক স্ট্রোক দিয়ে রওনা হল আবার ওপারের দিকে। সাঁই সাঁই সাঁতার কেটে কেউ বা পলির পাশ দিয়ে বেরিয়ে চলে গেল। আবার পাথরের দেওয়ালে হাত স্পর্শ করা মাত্র পাঁই করে ঘুরে দেওয়ালে পা বাধিয়ে পাকা সাঁতারুদের মতো ঝাঁপ দিল সামনের দিকে। আবার কেউ কেউ পলির গা ঘেঁষে দু’পাশে ঢেউ তুলে চলে এল আবার ওপারে। পলিও ওদের পিছন পিছন এপারে পৌঁছেই দু’ হাতে ভর দিয়ে উঠে পড়ল। এবার সব মেয়েদের সঙ্গে চলে গেল স্কুলের মেয়েদের বাথরুমের ঘরে।
না আর চিন্তা করতে পারছে না পলি... ওর তো ওদের এই নির্লজ্জভাবে সব জামাকাপড় খুলে ফেলাটাকে... নাঃ না না... সবার সামনে... হলেও বা সবাই মেয়ে... ও দেরি করছে দেখে সবাই ওকে নিয়ে কেমন ভাবে হাসাহাসি করছিল।
[ক্রমশ]
No comments:
Post a Comment