রাতের বেলায় সকলের জ্বর বেড়ে যায় বলে আমার রান্নাঘরে আর কোন শুঁয়োপোকা ঘোরাঘুরি করেনি, নীলাভ দরজায় এসে সকলে লাল রঙের ছত্রাক ফুল আর কিছু ক্যাকটাসের হলুদ অধাতব দাঁতগুলো ফুটিয়ে রেখে যায় গোলাকার আগ্নেয়াস্ত্রে ভয়ার্ত হৃদকম্প আর সোনালী কেঁচোদের ব্রহ্ম শরীর ছিন্ন করা অসংখ্য যৌন পদার্থ রেখে গেছে আমাদের সদর দরজার কাছে।
আমি শুধু ক্ষেপণাস্ত্র চাইছিলাম ঈশ্বর থেকে উৎক্ষিপ্ত একটা ধোঁয়া আর প্রোপেলিন জ্বালানি একটা মহাকাশের রক্তবমি আটকে দেওয়ার জন্য, একটা বারুদ ভর্তি গোলা এসে ছিন্নভিন্ন করুক আমার পেট-তলপেট-নাভি-ক্ষুদ্রান্ত্র-বৃহদন্ত্র, সংবিধান ছিঁড়ে আমার গলা দিয়ে বেরিয়ে যাক ১০৮-টা ১১০-টা ব্রহ্মপুত্র আর শিবের নপুংসক সন্তান
আমি কী একটু মৃত্যুর ঘনত্ব মাপার জন্য শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের গায়ে কিছু হিমোগ্লোবিনের চাদর জড়িয়ে বাতিল জলরেখার দিকে চলে গেছি না আসলে গতকাল রাতে আমি একটা রুদ্রাক্ষ রঙের চিকিৎসা ক্ষেত্র হতে তিন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল একক দূরে একটি কালো চিতি সাপ হত্যা করে পুঁতে রেখেছি আমার বিছানার ঠিক নৈঋত কোণে, বৃষ্টির মতো আমাদেরও পোশাক ভিজে যাচ্ছিল হিউমার মেশানো জিরো টেনস টু এভি নোডের কাছে, নল আর দময়ন্তী আসলে পূর্বজন্মের ব্যাধ অধিবৃত্তের নাম, শিব কিছু পাথরকুচির মতো শ্মশান থেকে কাঁচা কাঠের অতিপ্রাকৃতিক সম্ভোগ করে রক্ত চন্দনের বিশুদ্ধ পারদ সেজেছিলেন।
অগ্নুৎপাত রসায়নের সারা রাতে কর্পূরের এক একটা দাবানল জ্বলে উঠল, আমাদের সব আগুনের মতো বিধ্বংসী পোয়াতি নারীরাই নেমে আসে ছিন্নমস্তা অলৌকিক খণ্ড খণ্ড ফসফোরিক দ্রবণ নিয়ে
আমাদের জননতন্ত্র বিছিয়ে দেওয়া হল এখনই মৃতদেহ বাঁধা কালো ত্রিপলের সাথে, কোন সংহার কর্তা বেরিয়ে আসবেন না আগুনের মতো শীতল ও নিঃশুক্র দ্বীপের কর্কটক্রান্তীয় আগুনের গর্ভাশয় দেশ থেকে ঝুলে পড়ে ইস্ট্রোজেনিক তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে, বেশ কিছুদিন মূত্র রোগের এক চিকিৎসককে খুঁজছিলাম আদিম বনবাসের দুটো গবিনীর ব্যবচ্ছেদ করাব বলে
বিষের মতো অগ্নুৎপাত সবার মুখে, টেট্রা মিথাইল fenon অথবা সাপের দাঁত মাজানো চকলেট ফ্লেভারের কালো পাথরের রস একা একা নাবিক মেখে নেয় লাল কাঁকড়ার উপত্যকায় দুটো সিগারেটের ধ্বজভঙ্গ, সারা শরীরে কালো কৃষ্ণ বর্ণের উত্তম পাখনা গজিয়ে উড়ছে, এখনই চাঁদের মতো কঙ্কালসার একটা দেহকে আমরা সবাই তিন খণ্ড করে আগামী ভাদ্রের যৌন পুঁথির মতো সঙ্গম দৃশ্য দেখানো মফস্সল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসা কুকুরেরা ধৃতরাষ্ট্রের পোশাক পরে নিয়েছে,
হা হা হা হাসতে ইচ্ছে করছে রাস্তায় উলঙ্গ নারীরা পৃথিবীর সব উষ্ণতম দ্রাঘিমার অতীত প্রাকৃত ভূগোলের বিচ্ছিন্ন মালভূমি ভেঙে নেমে আসছে একটা খোলামকুচির মতো গ্রস্ত উপত্যকায়, রাস্তার ধর্ষিতা নারীরা উলঙ্গ হেঁটে যাওয়ার পর আমাদেরও নপুংসক অশোক চারাগাছগুলো নীল সমুদ্রের নীচে স্তরীভূত আগুনে মুখ পুড়িয়ে শুয়ে আছে, বিষ খা ধর্ষক বিষ খা আজ
দেব জীবনকেত নামে এক ৎ চিহ্নের পুরুষ মধ্যরাতের শ্যাওলা ওড়া পাতার এক ধৃতরাষ্ট্রীয় আগুন জ্বালতেই পেছনে ফুটে উঠলেন তিনি। তিনি তো সজীব। তিনি তো জড়। অথবা বায়বীয় ধনুর্ধর। অতি বৈজ্ঞানিক তিনি, আগুন থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসেন জীবনের গোপন কোকশাস্ত্র নিয়ে
রাতেই সকলের ভূমধ্য বেড়ে যায় আমাদের কেমন মৃত মাংস খাওয়ার উন্মাদনা দেখা দিল গতকাল শনিবার, পায়ের কাছে ঘুরঘুর করছে নবম পরজন্মের তিন ঢোক কো এনজাইম, সজারুর কাঁটা ভেদ করে আমি গম ক্ষেত থেকে তিন জোড়া রক্তাক্ত বেদানা নিয়ে দুই হাতে দলতে দলতে ৩২ দৈর্ঘ্যের অন্তর্বাসে ঢুকিয়ে দিচ্ছি আমার মারণাস্ত্র, আমি গরুড়ের আমি পুতনার নীল দুধ পান করছি
ওমেপ্রাজল অন্ধকারের নীচে ৩৫৩৭-টি ব্রহ্মাণ্ড ভেদ করে আসা কমণ্ডলু জলের ভেতর থেকে আমি মৃত প্রেতপুরীর সেনাদের অষ্টম বারের জন্য মন্ত্রপূত নীল শুক্র চিহ্নের আদিম পৌর পিতা করে দিচ্ছি। স্নান করো স্নান করো বাৎস্যায়ন, আখরোট খোলা দু’মুখো শাঁখের ভেতর, রোস্টেড চিংড়ি ফ্রাই খাওয়াব সমুদ্রে অতিলৌকিক স্নানের পর মিসিসিপি অধ্যুষিত উপত্যকা থেকে ফিরে আসার পর হরিণীরা আরো একবার স্থাপত্যহীন গুহাচিত্রের ভেতর দানবীয় ব্রাহ্মলিপি খুলে রেখে অষ্টম চক্রের সনাতন দাঁত নিয়ে আমাদের হত্যা করল, না কোন প্রমাণ রাখেনি কেউ পোস্টমর্টেম পরবর্তী রক্তপাত বিছানায়
সকলেই মাঝরাতে লুকিয়ে লুকিয়ে ঔষধ খাওয়ার নামে সাপের বিষ ঝলসানো মাংস আর খবরের কাগজে ঝুলে থাকা কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধ ওড়া নিউ ককটেল আর নিরক্ষীয় অসুখে ভুগতে থাকা মঙ্গল গ্রহের সতীচ্ছদ কিনে বাড়ি ফেরে
ঘুন ধরা টেবিলের কাছে বসলাম, মাথার উপর ঘুরঘুর ঘুরছে মিথোজীবী ফ্যান। যে আগুন উৎপাদনের কেন্দ্রীয় মস্তিষ্কে আমি পৌঁছে গেলাম অথচ তার ভেতর অসংখ্য কাচের পারদ বাষ্পগুলো উড়ে যাচ্ছে পরশুরামপুর ১০২ তিরুচিরাপল্লী, নেলোর ইমতিয়াজ আহমেদের বাড়ির দিকে
আমি হত্যার মতো আর কোনো অজুহাত দেখিনি, যেখানে কুরুক্ষেত্রের নীল রহস্যেরা কেমন মুখোমুখি বসে আছে একটা নিজেদের শরীর থেকে উদ্গত চুল্লির শ্বেত রক্ত কণিকা পোড়ানোর জন্য, হাঁ করো শিশু তোমার মুখে হলুদ জন্ডিস রোগের জীবাণু রাখি, আমার ইছামতী ঠিক মাঝ রাতে এসে পাথরের উপর গোলাপজামের ফুলগুলো ফুটিয়ে দেয় আমি তখন ধাতস্থ হয়ে তিনটি রুদ্রাক্ষের কবিতার নাম করে পৃথিবীর জলঙ্গি আঁকি,
বৃষ্টি কেন রোজ এভাবে আসে একা নিভৃত দুপুরবেলায়, যা কিনা আসলেই বুকের যৌন কামনা তাড়িত করার জন্য এখন নিভৃতে বসে থাকা যুধিষ্ঠির ও অজ্ঞাতবাসে না গিয়ে অ্যানাকার্ডিয়াম খেতো, শক্ত পাথরের মুখ বেঁধে রাখত একটা লং লাস্টিং ফাইবার কোটেড প্লাস্টিক কোটেড রিবন
তেরো দৈর্ঘ্যের মধ্যমায় আর কোন ঘনত্ব নয় রাত ভেঙে যায় বারবার চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে, আমি জানালার পাশ থেকে বের করা কিছু মানুষদের দেখে আঁতকে উঠি, যারা পেন্সিল গ্রাফাইট গুঁড়ো দিয়ে নিজেদের মুখগুলো এঁকেছে গালে চুমু খাওয়া হিটলারের মতো করে, আরও কিছু শান্তির বড়ি খাচ্ছি কাঁচা দুধের সাথে, লেনিন শোনানোর পরে দীর্ঘ চাঁদ থেকে দেখা প্রাচীর আর আমি হেমলক নিয়ে উল্টে পড়ে গেলাম আরো একটা টাইগ্রিস গভীর স্তন খাদে, মৃত মানুষের জন্য মাঝে মাঝে মৃত্যুর পোশাক উড়ে আসলেই খুব ভাল লাগে এখন
শরীরে এতগুলো তন্ত্র থাকতে নেই, আমি বৃক্কীয় মেডুলার রেচন তন্ত্রের ডান ইউরেটার খণ্ড নিয়ে সাপের মতো গলায় পেঁচিয়ে আরও একটা জন্মাষ্টমীর জন্য অপেক্ষা করি, আমার একটা কাটা পায়ের জুতো উল্টে রাখি সাপের বাসস্থানের জন্য, ঔ চিহ্ন আর কিছু নয় পায়ের দিকে তাকানো বিষধর সাপ আর কাঁকড়া বিছার লাল ঠোঁট উপেক্ষা করা রসায়নাগার মাত্র, নারকোটিক্স অপেক্ষা করি আমার তৃতীয় আত্মাটিকে পুনর্বার পরিশুদ্ধকরণের জন্য, প্রতিটি নারীর একটি করে উঁচু পর্বতের শিখরে শিকার সম্বন্ধীয় তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, একটা দীর্ঘ অস্তিত্বহীন থার্মোমিটারের ব্যারাল গ্ৰাম টু এমজি আর অসুস্থ বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে একটা মৎস্য শিকার কেন্দ্র খুলে রাখি, আমিই আমার কঙ্কাল, প্রতিটি মৃত গাছের উপর মৃত জোনাকি উড়ে যাওয়ার পর লাল ঠোঁটের ভেতর লুকিয়ে লুকিয়ে খাই সেফিউরিক্সিম ৭৫০। এত কী আয়োজনের প্রয়োজন আছে মৃত্যুকে লুকানোর জন্য, আরও একটা মৃতভোজী আগ্নেয় তেজস্ক্রিয় ডেল্টা দৈর্ঘ্যের কার্সিনোমা জলপ্রপাত অথবা সামগ্রিক মৃত্যুর মতো আপেল ঝুলে আছে শরীরের অসংখ্য স্থাপত্য গন্ধর্বের পচা দুর্গন্ধ স্থানে, কাঁটা-চামচ দিয়ে বরফ কুচি আর ভদগা খাচ্ছি
অ্যাক্রিলিক রংয়ের ১৮ জন অষ্টশক্তির রুদ্র পুরুষ সূক্ষ্ম দেহতত্ত্বের রাসলীলা ক্ষেত্রের শিল্পী সেজে নেমে এস মাঝরাতের শরীরী কাঁটা কম্পাস নাব্যতার পাথর কণায়, আমি অপরাজিতার নীল ঢেউ থেকে ভেসে ওঠা সোনালি মাছের পেট চিরে অসংখ্য জীবনচক্র থেকে আর্তচিৎকারের স্নায়ু রসায়ন পুরুষদের মুক্ত করলাম,
আমি গত রাতের শৃঙ্গার ছাড়া আর কোনদিন লাল কফের সংক্রমণ দূরীকরণের জন্য যক্ষা রোগের ঔষধ খাইনি, মাথার উপর দুটো শিরস্ত্রান উপুড় করা প্যারাটাইল কেঁচো জড়িয়ে ধরছে আমাকে, আজ বোধহয় শ্মশান চুল্লীর রজঃস্রাব দেখা দিয়েছে ৩৫ বৎসর অতিক্রান্ত অ্যাসিডিক নাব্যতায় ডুবে থাকার পর
No comments:
Post a Comment