বাতায়ন/কবিতা/১ম বর্ষ/১৭তম সংখ্যা/৮ই ভাদ্র, ১৪৩০
কবিতা
শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম
[বাংলাদেশ]
রঙ্গমঞ্চের নটরাজ
রঙ্গমঞ্চে নটরাজে পার্থিব জগতে সাজে
বিপ্লবীনি ছিল নদীমাতা;
গড়ায়ের পাড়ে তাই এই ব্যথা বলে যাই
শূন্যতে আজো পুণ্যের খাতা।
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে করি পাপ নাই কোনো অনুতাপ
ব্যভিচারে আপনারে রাখি,
দায় মুক্তি নাই প্রাণে মৃত্যুঞ্জয়ী ওই গানে
রোজ বেসামাল হয়ে থাকি।
শুনি মায়া মন্ত্রধ্বনি এ ধরা হীরের খনি
ভূমিদস্যু হয়ে সর্বগ্রাসী,
সাদাসিধে সাজি রোজ বোকাদের রাখি খোঁজ
আমি অহমিকা সর্বনাশী।
কর্ম করো ধর্ম পথে আলো জ্বেলে দিশা রথে
আত্মশুদ্ধি যুক্ত করে কাজে,
এই বাণী মিথ্যে বলে দিনমান যায় চলে
অস্তমিত হয় সূর্য সাঁঝে।
পাব না রেহাই আমি এই কথা বড় দামি
বুঝে না তবু অবুঝ মন,
নত শিরে কেন তাঁরে কুর্নিশেতে ডাকে না রে
খোঁজে ফিরে না সে সারাক্ষণ?
ফিরে এসো এই পথে আমি বলি কোনো মতে
দিন যায় এই দিন আসে,
প্রস্তর কঠিন হিয়া সরল পথেরে নিয়া
চলে যাবে ক্ষালিত আকাশে।
বিপ্লবীনি ছিল নদীমাতা;
গড়ায়ের পাড়ে তাই এই ব্যথা বলে যাই
শূন্যতে আজো পুণ্যের খাতা।
ব্যভিচারে আপনারে রাখি,
দায় মুক্তি নাই প্রাণে মৃত্যুঞ্জয়ী ওই গানে
রোজ বেসামাল হয়ে থাকি।
ভূমিদস্যু হয়ে সর্বগ্রাসী,
সাদাসিধে সাজি রোজ বোকাদের রাখি খোঁজ
আমি অহমিকা সর্বনাশী।
আত্মশুদ্ধি যুক্ত করে কাজে,
এই বাণী মিথ্যে বলে দিনমান যায় চলে
অস্তমিত হয় সূর্য সাঁঝে।
বুঝে না তবু অবুঝ মন,
নত শিরে কেন তাঁরে কুর্নিশেতে ডাকে না রে
খোঁজে ফিরে না সে সারাক্ষণ?
দিন যায় এই দিন আসে,
প্রস্তর কঠিন হিয়া সরল পথেরে নিয়া
চলে যাবে ক্ষালিত আকাশে।
No comments:
Post a Comment