বাতায়ন/পরকীয়া/কবিতা/১ম বর্ষ/২৬তম সংখ্যা/২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
পরকীয়া | কবিতা
শিপ্রা ভট্টাচার্য
কল্পপ্রেমরাগ
উৎসবের অবসানে যখন নিকষ নৈঃশব্দ্য ঘিরে
ধরে,
জমাট বাঁধা অন্ধকারে ঊর্ধ্বমুখী পুড়তে থাকে
শিখাহীন সলতের বিষন্নতা—
জমাট বাঁধা অন্ধকারে ঊর্ধ্বমুখী পুড়তে থাকে
শিখাহীন সলতের বিষন্নতা—
যখন মণ্ডপ থেকে একে একে ঝরতে থাকে
শিল্পীর বছরভর দেখা স্বপ্নগুলি—
তখন পলেস্তারা খসা ইমারতের মতো
দাঁড়িয়ে থাকি জীর্ণ আমি।
আর আমার আশনাই ফুঁড়ে সাড়ম্বরে
ঝলসাতে থাকে তোমার উপস্থিতি,
ঝুপ্ করে লুকিয়ে ফেলি নিজেকে
জনসমুদ্রে দ্রবীভূত হতে থাকি ক্রমশ...
পাছে ধরা পড়ি!
পাপবোধে নয়, তোমার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে
ভাবের ঘরে সেঁধিয়ে যেতে যেতে দেখি
কী ভীষণ নির্লিপ্ত তুমি, কী ভীষণ উন্নাসিক।
তোমার অস্তিত্বের কোথাও এতটুকু মাখোনি আমায়
তোমার আভায় কোথাও পড়েনি আমার হৃদয়ের ছায়াটুকুও।
তবু,
তোমার দ্যুতিময় প্রকাশে আমি কোজাগরি হয়ে উঠি—
তোমার প্রদক্ষিণে অঙ্কুরিত হয় আমার মুক্তিবীজ,
তোমার প্রেমেই রচিত হয় আমার ভাবের সমাধি।
জানি—
সময়ের বিবর্তনের পথ ধরে
নিশ্চিত ফিরবে তুমি।
যেমন করে শ্রীরাধার অনুভূতি বুঝতে
ফিরতে হয়েছিল ভগবানকেও,
কৃষ্ণপ্রেমে আকুল একটি হৃদয় ধারণ করতে হয়েছিল নিজের পাঁজরে
উদ্বেল হয়ে রাজপথে ঘুরতে হয়েছিল চৈতন্য রূপ ধরে...
এত গভীরতা এতটাই সুন্দর যে আমিও প্রেমিক হতে চাই তোর।হতে চাই কেও তো থাকুক এমনিভাবে।।যছ আমাকে বোঝে আমাকে ভালবাসে।আর আমিও হতছ চাই তোর আলিঙ্গনে ধরা দিতে চাই বন্ধু।এগিয়ে চল এ ছাড়া আর কিইবা প্রার্থনা করব।তোর কলমের ক্ষমতা ধারন বৃদ্ধি পিক।
ReplyDeleteসুন্দর লিখেছেন ।
ReplyDelete