বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/অন্য
চোখে/২য় বর্ষ/৬ষ্ঠ/যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা/২১শে আষাঢ়, ১৪৩১
যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা | অন্য চোখে
তুষার ভট্টাচার্য
পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার অন্তর্জলি যাত্রা
"এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের রাজ্যে বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন। এটাই আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি। বাঙালির মননের এই উদার সংস্কৃতির পরম্পরা আবহমানকাল ধরেই চলেছে।"
এ কথা স্বীকার করে
নেওয়া ভাল যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দশ কোটি বাঙালি তাদের চিরন্তন ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য
একেবারেই ভুলতে বসেছে। যদিও বছরে ২১ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা দিবস এবং
বঙ্গাব্দের নববর্ষ ১লা বৈশাখ এলেই অধিকাংশ শিক্ষিত বাঙালির মনে বাংলা ভাষার প্রতি
স্রেফ এই দুদিনের জন্য দরদ, আবেগ সহসা যেন উথলে ওঠে। এর পর সারা বছর আর তাঁদের
মাতৃভাষা বাংলার প্রতি সামান্য মমত্বও দেখা যায় না।
বর্তমানে অধিকাংশ
আধুনিক শিক্ষিত বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন চর্যায় মাতৃভাষা বাংলার কোনও স্থান নেই।
তাঁদের পছন্দের এবং কর্মক্ষেত্রের প্রিয়তম ভাষা হল ইংরেজি নতুবা হিন্দি।
এই প্রেক্ষিতেই সর্বাগ্রে যে প্রশ্ন উঠে আসে তা হল আমাদের এই ভঙ্গ বঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে মাতৃভাষা বাংলা আদৌ থাকবে তো?
বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় একহাজার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা রয়েছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই আশঙ্কা করছেন যে এই পৃথিবীর বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষার দাপটে প্রায় পঞ্চাশ থেকে নব্বই শতাংশ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অবলুপ্তি হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে। সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষা হল চিনা ভাষা, স্প্যানিশ ভাষা, ইংরেজি ভাষা, আরবি ভাষা এবং হিন্দি ভাষা। এই বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষার দাপটে (এক কথায় ভাষা সাম্রাজ্যবাদ) অচিরেই পৃথিবী থেকে অনেক আঞ্চলিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যাবে।
যদিও ভাষা হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলার স্থান রয়েছে সাত নম্বরে। কিন্তু এই নিয়ে শ্লাঘার কোনও কারণই নেই। কেন-না প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হল বাংলা। ওপারে প্রায় আঠেরো কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। তাই পড়শি বাংলাদেশের মানুষেরা মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনায়াসে গর্ব করতেই পারে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে। ইদানীং এই রাজ্যে ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষার দাপটে মাতৃভাষা বাংলার অবস্থা অনেকটা দুয়োরানির মতন হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাপুয়াগিনিতে (দ্বীপ রাষ্ট্র) আগে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় আটশো ত্রিশটি আঞ্চলিক ভাষা ছিল। ইংরেজি ভাষার দাপটে সেখানে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আঞ্চলিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে। ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি প্রভৃতি ভাষার দাপটে পৃথিবীর অনেক দেশেই নিজস্ব মাতৃভাষার অবলুপ্তি হয়ে গেছে।
অধুনা আমাদের রাজ্যে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার দাপটে বাংলা ভাষাও বিপন্ন হয়ে পড়ছে নিরন্তর। পশ্চিমবাংলায় এমনিতেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু অংশে গোর্খালি ভাষায় কথা বলেন অনেক মানুষ। মহানগর, কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪পরগণা, হাওড়া এবং দুর্গাপুর - আসানসোল শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রচুর মানুষ হিন্দি ভাষী। পূর্ব-মেদিনীপুর জেলার ওড়িশা রাজ্য সীমান্তবর্তী এলাকায় (কাঁথি, তমলুক প্রভৃতি এলাকা) ওড়িয়া ভাষার যথেষ্ট আধিক্য রয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় সাঁওতালি জনগোষ্ঠীর মানুষেরা অনেকেই অলচিকি ভাষায় কথাবার্তা বলেন, লেখাপড়া করেন।
এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের রাজ্যে বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন। এটাই আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি। বাঙালির মননের এই উদার সংস্কৃতির পরম্পরা আবহমানকাল ধরেই চলেছে।
এই সূত্রেই বলা যায় যে এই খণ্ডিত বাংলায় আর কতটুকু জায়গায় আর মাতৃভাষা বাংলা চর্চার পরিসর রয়েছে? দেখা যাচ্ছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ক্রমশ সংকুচিত এবং কোনঠাসা হয়ে পড়ছে অধুনা পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যে। এই বিষয়ে আমরা যদি এখনই সচেতন না হই তাহলে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা অচিরেই ধাত্রীভূমি থেকে হয়তো বা অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দশকোটি মানুষের বাস। তবুও এই রাজ্যে মাতৃভাষা বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে বৈকি! কেন-না উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত স্বচ্ছল বাঙালি পরিবারের সন্তানেরা এখন প্রায় সবাই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লেখাপড়ার কারণে এদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি কোনও ভালবাসাই আদৌ গড়ে উঠছে না। এই কারণে অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি নবীন প্রজন্মের একটি অংশের মুখের ভাষা ও দৈনন্দিন ব্যবহারিক কাজের ভাষা হয়ে যাবে ইংরেজি ও হিন্দি। এই কারণে এই রাজ্যের চতুর্দিকে ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা আবশ্যিক করা জরুরি। হিন্দি ভাষাকে ঐচ্ছিক করলে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীরা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে মাতৃভাষা অন্তত লিখতে এবং বলতে পারবে।
এছাড়াও সর্বত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটের নামগুলি বাংলায় লেখার ব্যবস্থা করা, ব্যাংক, পোস্ট অফিসের আমানতের ও অন্যান্য কাগজপত্র বাংলা ভাষায় লেখার ব্যবস্থা করা জরুরি। এখনও গ্রামাঞ্চলে অনেকেই ব্যাংক, পোস্ট অফিসের ফরম পূরণ করতে পারেন না ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মুদ্রিত হবার ফলে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও বিভিন্ন ফরম এখনও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত হয়। বিশেষ করে রেশন কার্ডের ফরম, রেশন কার্ডে, আধার সংযোজনের ফরম প্রভৃতি বিভিন্ন ফরম যে গুলি গ্রামীণ এলাকার একেবারে তৃণমূলস্তরের মানুষের জীবন যাপনে জরুরি সে গুলিও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত হয়। এটা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়।
বস্তুতপক্ষে, আমাদের রাজ্যে বাংলাভাষা যাতে সরকারি ভাবে উপেক্ষিত না হয় তা দেখতে হবে রাজ্য সরকারকে।
শিক্ষিত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাঙালিদেরও সম্যক ভাবতে হবে যে তাঁদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়া সন্তানরা যদি বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারে সেই লজ্জায় তাঁদের মাথা হেঁট হওয়া উচিৎ। কেন-না তাঁরাই তো একদিন বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ার সময় আবৃত্তি করতেন - মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
এই প্রেক্ষিতেই সর্বাগ্রে যে প্রশ্ন উঠে আসে তা হল আমাদের এই ভঙ্গ বঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে মাতৃভাষা বাংলা আদৌ থাকবে তো?
বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় একহাজার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা রয়েছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই আশঙ্কা করছেন যে এই পৃথিবীর বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষার দাপটে প্রায় পঞ্চাশ থেকে নব্বই শতাংশ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অবলুপ্তি হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে। সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষা হল চিনা ভাষা, স্প্যানিশ ভাষা, ইংরেজি ভাষা, আরবি ভাষা এবং হিন্দি ভাষা। এই বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষার দাপটে (এক কথায় ভাষা সাম্রাজ্যবাদ) অচিরেই পৃথিবী থেকে অনেক আঞ্চলিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যাবে।
যদিও ভাষা হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলার স্থান রয়েছে সাত নম্বরে। কিন্তু এই নিয়ে শ্লাঘার কোনও কারণই নেই। কেন-না প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হল বাংলা। ওপারে প্রায় আঠেরো কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। তাই পড়শি বাংলাদেশের মানুষেরা মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনায়াসে গর্ব করতেই পারে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে। ইদানীং এই রাজ্যে ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষার দাপটে মাতৃভাষা বাংলার অবস্থা অনেকটা দুয়োরানির মতন হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাপুয়াগিনিতে (দ্বীপ রাষ্ট্র) আগে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় আটশো ত্রিশটি আঞ্চলিক ভাষা ছিল। ইংরেজি ভাষার দাপটে সেখানে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আঞ্চলিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে। ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি প্রভৃতি ভাষার দাপটে পৃথিবীর অনেক দেশেই নিজস্ব মাতৃভাষার অবলুপ্তি হয়ে গেছে।
অধুনা আমাদের রাজ্যে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার দাপটে বাংলা ভাষাও বিপন্ন হয়ে পড়ছে নিরন্তর। পশ্চিমবাংলায় এমনিতেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু অংশে গোর্খালি ভাষায় কথা বলেন অনেক মানুষ। মহানগর, কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪পরগণা, হাওড়া এবং দুর্গাপুর - আসানসোল শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রচুর মানুষ হিন্দি ভাষী। পূর্ব-মেদিনীপুর জেলার ওড়িশা রাজ্য সীমান্তবর্তী এলাকায় (কাঁথি, তমলুক প্রভৃতি এলাকা) ওড়িয়া ভাষার যথেষ্ট আধিক্য রয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় সাঁওতালি জনগোষ্ঠীর মানুষেরা অনেকেই অলচিকি ভাষায় কথাবার্তা বলেন, লেখাপড়া করেন।
এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের রাজ্যে বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন। এটাই আমাদের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি। বাঙালির মননের এই উদার সংস্কৃতির পরম্পরা আবহমানকাল ধরেই চলেছে।
এই সূত্রেই বলা যায় যে এই খণ্ডিত বাংলায় আর কতটুকু জায়গায় আর মাতৃভাষা বাংলা চর্চার পরিসর রয়েছে? দেখা যাচ্ছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ক্রমশ সংকুচিত এবং কোনঠাসা হয়ে পড়ছে অধুনা পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যে। এই বিষয়ে আমরা যদি এখনই সচেতন না হই তাহলে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা অচিরেই ধাত্রীভূমি থেকে হয়তো বা অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দশকোটি মানুষের বাস। তবুও এই রাজ্যে মাতৃভাষা বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে বৈকি! কেন-না উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত স্বচ্ছল বাঙালি পরিবারের সন্তানেরা এখন প্রায় সবাই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লেখাপড়ার কারণে এদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি কোনও ভালবাসাই আদৌ গড়ে উঠছে না। এই কারণে অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি নবীন প্রজন্মের একটি অংশের মুখের ভাষা ও দৈনন্দিন ব্যবহারিক কাজের ভাষা হয়ে যাবে ইংরেজি ও হিন্দি। এই কারণে এই রাজ্যের চতুর্দিকে ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা আবশ্যিক করা জরুরি। হিন্দি ভাষাকে ঐচ্ছিক করলে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীরা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে মাতৃভাষা অন্তত লিখতে এবং বলতে পারবে।
এছাড়াও সর্বত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটের নামগুলি বাংলায় লেখার ব্যবস্থা করা, ব্যাংক, পোস্ট অফিসের আমানতের ও অন্যান্য কাগজপত্র বাংলা ভাষায় লেখার ব্যবস্থা করা জরুরি। এখনও গ্রামাঞ্চলে অনেকেই ব্যাংক, পোস্ট অফিসের ফরম পূরণ করতে পারেন না ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মুদ্রিত হবার ফলে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও বিভিন্ন ফরম এখনও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত হয়। বিশেষ করে রেশন কার্ডের ফরম, রেশন কার্ডে, আধার সংযোজনের ফরম প্রভৃতি বিভিন্ন ফরম যে গুলি গ্রামীণ এলাকার একেবারে তৃণমূলস্তরের মানুষের জীবন যাপনে জরুরি সে গুলিও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত হয়। এটা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়।
বস্তুতপক্ষে, আমাদের রাজ্যে বাংলাভাষা যাতে সরকারি ভাবে উপেক্ষিত না হয় তা দেখতে হবে রাজ্য সরকারকে।
শিক্ষিত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাঙালিদেরও সম্যক ভাবতে হবে যে তাঁদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়া সন্তানরা যদি বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারে সেই লজ্জায় তাঁদের মাথা হেঁট হওয়া উচিৎ। কেন-না তাঁরাই তো একদিন বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ার সময় আবৃত্তি করতেন - মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment