রম্যরচনা
প্রদীপ কুমার দে
প্রদীপ কুমার দে
মাস
পয়লার নিদান
ঝিঙাফুল
সিরিজ— ৬"মা কাজে চলে গেল। ঝিঙাফুল আমাকে টেনে ঘরের দিকে নিতে চাইল, আর কোথা থেকে শ্যালকবৌ এসে আমায় টিপ্পনী কাটল, -যান শাশুড়ি-মায়ের ছোট্টছেলে ঘরে ঢুকে যান আর স্নানে যাওয়ার আগে আরো এক দান খেলে নিন!"
শনিবার গেছি
বউ আনতে। রবিবার সংক্রান্তির বাধা এড়িয়ে সোমবার ফেরার কথা ঠিক হল। বউ ঝিঙাফুল
দুদিন আমায় খুশি করে দিল। বুঝেছেন তো? আমাকে আবার
সোমবার ভোরে উঠে জিজ্ঞাসা করল,
স্নানে যাব। পুকুরে ডুব দিতে ভয় লাগে তাই বালতি আর মগ নিলাম। শাশুড়ি-মা দৌড়ে এল,
বউয়ের মাথায় হাত!
-দেখো কী কাণ্ড আমি পুরো ভুলে মেরে দিয়েছি। কাকিমা তো গতবারেই পইপই করে বলেছিল, 'আর যাই করিস মাসের শেষ আর পয়লা কোন শুভকাজে হাত দিবি না' জানো মা? তোমার জামাই না এসব মানেই না!
শাশুড়ি-মা আমার মুখের দিকে চেয়ে হাসল,
মা কাজে চলে গেল। ঝিঙাফুল আমাকে টেনে ঘরের দিকে নিতে চাইল, আর কোথা থেকে শ্যালজবৌ এসে আমায় টিপ্পনী কাটল,
আমি যে কী বলব না, লজ্জায়? মেয়েরা ভীষণ ঠোঁটকাটা হয় দেখছি। ঝিঙাফুলও সায় দিল,
-এমা! ছি! ছি! এ তো একেবারে দ্বিতীয় খুড়শ্বশুর? তাও জামাইবাবু আপনি বাইরে পয়সা কেন দিতে যাবেন? আমাকেই দেন, ঘরের টাকা ঘরেই থাকবে। শালাভাই এখন বেরিয়ে গেছে, ইচ্ছে হলে তাড়াতাড়ি চলে আসুন।
চারদিকে হাসির হুল্লোড়। আমি লজ্জায় লাল। ঝিঙাফুল আমাকে ওদের হাতে ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে গেল। আমি পুরুষ হয়েও একা বোকা! নিজেকে খুব চালাক ভাবতাম আজ সেই ভুল ভেঙে গেল।
একদল মহিলার মধ্যে আমি এক পুরুষ অসহায়। বড় শিক্ষা হল। কিন্তু এইরূপ মজাদার পরিস্থিতিতেও মাসের পয়লা আমায় এক বড় অভিজ্ঞতার নিদান দিয়ে গেল!
সমাপ্ত
বড় আনন্দ পেলাম আমি নিজের লেখা নিজেই পড়ে। সম্পাদক মহাশয়কে অনে অনেক ধন্যবাদ এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ReplyDelete