বাতায়ন/মাসিক/কবিতা/২য় বর্ষ/২৮তম সংখ্যা/২রা
ফাল্গুন, ১৪৩১
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী সংখ্যা | কবিতা
ঋজু রেজওয়ান
স্বপ্ন
ও বিভ্রমে নৈসর্গিক যাত্রা
যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যের চলে যাওয়া, ঝাউয়ের আড়ালে সে অধোগতির ক্ষণিক বিভ্রমে একান্তই হারিয়ে যায়। আধ খাওয়া গলিত লাভার থালা— দৃশ্যের অন্তরালে সুটিটার্ন পাখির কোমল ডানা থেকে দু’একটি পালক তখন ঝরে যায়। পেন্ডুলাম আকাশ মেদুর মেঘের ছলকে তাতিয়ে তাতিয়ে দূর অদৃশ্যে দিশে পাঠায় এক একটি চিত্রকল্প। অদূরে সন্ধ্যাবাতির মৌন আলোয় পিছু নেয় লবণাক্ত খামিরের জল।
অস্বচ্ছ ক্লান্ত জলের
পরিপাটি নীরবতার ভেতর তাকিয়ে যখন নিজের দিকে ফিরে আসছে বারবার, তখন প্রাণের পাঁচ অস্তিত্বের চোখ সরে যায় মকরক্রান্তির অচলায়তনে। ভেঙে
যাবার আগেই ভেঙে যায়— দিনান্তের উষ্ণীব আলো। জাহাজের মাস্তুল
থেকে ভোঁ ভোঁ সাইরেন বেজেই যাচ্ছে... কিন্তু কোথাও যেন কিছু নেই, সাড়া নেই, শব্দ নেই, শব্দহীন
নিস্তব্ধ খাঁ-খাঁ মরুভূমির এক আঁজলা আঁচল বিছিয়ে রেখেছে মানুষের
অন্ধকার-ইট-পাথুরের বৌদ্ধিক মাদুর। তারারা যদ্যপি সুযোগ পেলে একান্তবর্তী চাঁদকে
নিয়েও নেমে যায় বিনীত সন্ধ্যার দিকে... সেই অলক্ষ্যের অসীম
শূন্যতার বুকে। যে শূন্যতার ভেতর অকিঞ্চিৎ আলোর চারিধার নিষ্প্রভ ও নির্লিপ্ত।
চারকোল চা-বিকেলের পর থেকে কোথায় কতটুকু— কী রং লেগেছিল রং
মিস্ত্রির ছোঁয়ায়! আর কতটুকু রং ঢলে পড়েছিল তুলি চুঁইয়ে পৃথিবীর ’পর। তা জানার
আগে পাড় থেকে দূরে... ইঞ্জিনচালিত কিম্ভুতকার শব্দের ভেতর প্রিয়ার টংকার কর্ণকুহরে বারবার ধাক্কা দিচ্ছিল— সেই অবোধ বিবাহত্তোর
বালিকার ছেঁড়া কান্নার অহংকার, যখন তীব্র-উষ্ণ আকাঙ্ক্ষা
নিয়ে আমাদের বুকে লুটিয়ে পড়ত হতবিহ্বল। আমরা চোখ বুজে সমস্ত
শূন্যতার কবিতা নিয়ে একা— শুধু একাই হেঁটে যাচ্ছি সমুদ্রের
দিকে... যেখানে সমুদ্র একটি ভাসমান সরলরেখা এঁকে রেখেছে অপর যোজনায়।
স্বাগতম। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল।
ReplyDeleteসুন্দর পোস্ট অনেক শুভেচ্ছা
ReplyDelete