বাতায়ন/মাসিক/কবিতাণু/৩য় বর্ষ/১৯তম সংখ্যা/১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২
কবিতাণু
দয়াময় পোদ্দার
আমপাতা ও অন্যান্য
সামান্য হাওয়া জলে দোলা লাগে, আর
তাতে রোদ ঝিকমিকে জোছনার ছোঁওয়া
আমপাতা ঝুরোছায়া বেঁধে রাখে
অরণ্য-কুশল
তাকে তুমি ভুলে যেতে পার;
ঠান্ডা-শ্লেষ্মা, বুকের ভিতর ঘড়ঘড়
গরম তেল মালিশ,
আবহ ফুরোয়
ভোরের আকাশে...
কবিতার
বই
বিদুড়ের খুদকুঁড়ো কবিতা
জমলে
পাণ্ডুলিপি হয়। পল পল প্রতীক্ষার
উড়াল পাখি...
মায়া থেকে যায় শুধু গোপন
সিন্দুকে
দূর
পাশে থাকা কোন সহজ বিষয় নয়
বিষণ্ণ পালকে ঢাকা থাকে অশ্রুবিন্দু,
আর অসীম শূন্যতা। কোন পাখি
এসে
ডানা ঝাপটায়, শিস দেয়। বুঝে নিও-
সে তোমার অশ্রুবিন্দুকে ছুঁতে চাইছে;
নদীও ক্ষয়ে ক্ষয়ে একদিন দূরে
সরে যায়
যদি তার জলজ বুকে স্নান না করো!
অন্ধকার
কিছু অন্ধকার দেখা যায়না।
নিশ্বাসের বোয়ামে গোলানো দলা দলা রক্ত,
খুব বমি পায়।
ইচ্ছে করে অন্নপ্রাশনের ভাত
উগড়ে দিতে,
এতো সাদা দিন- স্ফটিকের মতো
দুর্বোধ্য ভাষার চিৎকার… ফিরেআসে
প্রতিধ্বনি হয়ে
কবিতাণু
দয়াময় পোদ্দার
আমপাতা
তাতে রোদ ঝিকমিকে জোছনার ছোঁওয়া
আমপাতা ঝুরোছায়া বেঁধে রাখে
অরণ্য-কুশল
তাকে তুমি ভুলে যেতে পার;
গরম তেল মালিশ,
ভোরের আকাশে...
পাণ্ডুলিপি হয়। পল পল প্রতীক্ষার
উড়াল পাখি...
বিষণ্ণ পালকে ঢাকা থাকে অশ্রুবিন্দু,
ডানা ঝাপটায়, শিস দেয়। বুঝে নিও-
সে তোমার অশ্রুবিন্দুকে ছুঁতে চাইছে;
যদি তার জলজ বুকে স্নান না করো!
নিশ্বাসের বোয়ামে গোলানো দলা দলা রক্ত,
দুর্বোধ্য ভাষার চিৎকার… ফিরেআসে
প্রতিধ্বনি হয়ে
No comments:
Post a Comment