বাতায়ন/তৈমুর
খান সংখ্যা/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/৩২তম
সংখ্যা/১১ই অগ্রহায়ণ,
১৪৩২
তৈমুর
খান সংখ্যা | গল্পাণু
সনৎ ঘোষ
এক অভিনব বিঞ্জাপন
"মানুষটা মরবেন কেন? এভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেউ কোনদিন কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে আগে! কীসের দুঃখ ওই ভদ্রলোকের!"
শ্রেণীবদ্ধ বিঞ্জাপনে চোখ
বোলাতে বোলাতে, হঠাৎই এক জায়গায় থমকে যায়
রাতুল। কাগজে অনেকরকম বিজ্ঞাপন দেখা যায় কিন্তু এটা কী ধরনের!
এভাবে কি কেউ বিঞ্জাপন দিতে পারে! দেওয়া যায় কি! সত্যিই অবাক করা অভিনব একটা
বিষয়। এক ভদ্রলোক মনের দুঃখে আত্মঘাতি হতে চান। কারণটা উহ্য, কিন্তু দিনক্ষণ স্থির করে ফেলেছেন। আর কোনভাবে যাতে সেই আত্মহত্যায়
বিঘ্ন না ঘটে, সেইজন্যই দিনক্ষণ প্রকাশ করতে চাননি ভদ্রলোক।
আর যদি না... বিজ্ঞাপনটা
এখানেই শেষ, একপ্রকার অসমাপ্ত
বটে। ভদ্রলোকের এরকম একটা বিষয়ের ওপর ব্যাক্তিগত বিজ্ঞাপন ভাবনা
মাথায় এলো কেন আর দিলেনই বা কেন!
কাগজের এই বিজ্ঞাপনটা কদিন
ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাতুলের মাথায়। মানুষটা মরবেন কেন? এভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেউ কোনদিন কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে আগে! কীসের দুঃখ ওই ভদ্রলোকের! এত দিনে কী! নানান কাজের মাঝে এইসব
ভাবনাগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে তার।
অবশেষে একদিন সেই বিঞ্জাপনের
রহস্য উদ্ঘাটন হয়। রাতুলের নজরে আসে তার অসমাপ্ত অংশটা। ভদ্রলোক লিখেছেন উনি ফিরে
এসেছেন, এতত্রব আপাতত আত্মহত্যার
প্রসঙ্গটা স্থগিত থাকছে। একসময় আরও পরিষ্কার হয় ব্যাপারটা। ভদ্রলোক তাঁর এক
প্রাক্তন প্রেমিকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আর তাঁর সেই প্রেমিকাকে ফিরে পেতেই
এরকম এক অভিনব বিঞ্জাপন ভাবনা।
সমাপ্ত

No comments:
Post a Comment