সম্পাদকীয়
লোক দেখানো বাহুল্যতা অপছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ। এই মুহূর্তে তাঁর দু’টি কবিতার কথা বলা যেতে পারে, ‘রথযাত্রা’ এবং ‘আগমনী’। তা বাদেও তাঁর বিভিন্ন রচনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একটা কথা ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক। গ্রহণীয় যা তা অন্তর থেকেই গ্রহণ করা উচিত।
সম্প্রতি বাবা-দিবস গেল। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পিতৃভক্তির জোয়ার আয়লা, আমফান কিংবা ইয়াসকেও হার মানায়। অথচ এমন মানুষ খুঁজে পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় (সকলেই নন) যারা বাবার ইহকালে এবং পরকালে তাকে দাঁতের উপর রেখে নিয়তই তাঁর বাপান্ত করেননি। আসলে বাবা-মা তো বটগাছ, মাথার উপরে চিরকাল স্নেহের আচ্ছাদন দিয়ে সন্তানকে সমস্ত রকম বিপদ থেকে রক্ষা করার সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তিনি বা তাঁরা সন্তানের হৃদয়ে থাকেন। চলতে-ফিরতে নিদ্রায়-জাগরণে হামেশাই তাঁদের অস্তিত্ব বিদ্যমান। তাঁদের প্রতি লোক দেখানো ভালবাসা দেখিয়ে নিজেকে জাহির করা কি খুব প্রয়োজন?
পরিবেশ-দিবস বা বৃক্ষরোপণ উৎসবের মতো অত্যন্ত জরুরি বিষয় সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়। ঘটা করে পরিবেশ-দিবস বা বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করেন। দলবল মিলে সাংবাদিক ডেকে ছবি তুলিয়ে বৃক্ষরোপণ করে, তাতেই দায়িত্ব শেষ! অথচ নিদেন পক্ষে মাসে একটা করেও যদি গাছ লাগিয়ে এবং সেই গাছটার নিয়মিত পরিচর্যা করা যায় তাতে আদতে মানুষই উপকৃত হন। যে যার নিজের দায়িত্বে সে-টুকু করতেই পারেন মানুষ।
No comments:
Post a Comment