প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Saturday, June 24, 2023

মেলে দিলাম পাখা… | মহুয়া বাসু

বাতায়ন/শিল্প-সংস্কৃতি/১ম বর্ষ/১১তম সংখ্যা/৮ই আষাঢ়, ১৪৩০

শিল্প-সংস্কৃতি
মহুয়া বাসু
[লেখিকা বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী]

মেলে দিলাম পাখা…

লেখালিখি বহু দিন করি না কিন্তু বাতায়ন অনলাইন পত্রিকার দৌলতে আজ একটু নিজের কথা লিখতে ইচ্ছে হল। আমি কোনও বিধিবদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত আর্টিস্ট নই, শুধু মাত্র নিজের ভাল লাগে তাই একটু ছবি আঁকি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভীষণ ভালবাসতাম কিন্তু শিখে ওঠা হয়নি কোনদিন। যেটুকু পরিচিতি পেয়েছি তাতেই আমি খুশি। তবে বহু দিন পরে ছবি আঁকা শুরু করতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে।


সেই ছোটবেলার পর আবার এখন নতুন করে নিজের জন্য সময় বের করে একটু আঁকতে বসি। নিজের পড়াশোনা, বিয়ের পর সংসারের চাপে আর নিজেকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে এখন সব কাজের ফাঁকেও নিজের জন্য একটু সময় বের করি। এই শুরুটা শুরু হয় একটা দুঃখজনক ঘটনা দিয়ে।

আমার মা 2020 সালে কোভিডে মারা যান। আমি প্রচণ্ড ভেঙে পড়ি। খাওয়াদাওয়া ছেড়েই দিয়েছিলাম প্রায় এমন অবস্থা হয়েছিল। এক বন্ধুর কথায় আবার শুরু করলাম ছবি আঁকা। সে আমাকে আবারও ছবি আঁকা শুরু করতে বলে। অবশ্যই একটা কথা না বললে খুব অন্যায় হবে। আমার স্বামী, আমার সংসার সবসময় আমার পাশে থেকেছে নাহলে ঘুরে দাঁড়ানো কখনই সম্ভব হত না।

সেই থেকে রোজ একটা একটা করে ছবি আঁকতে থাকলাম। আর মাঝে মাঝে ফেসবুকে পোস্ট করতাম। তারপর একটু একটু করে মানুষজন আমার ছবি পছন্দ করতে শুরু করেন আর আমারও ছবি আঁকার জন্য উৎসাহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। অনেকের মনে হতে পারে আমি একটা মেয়ে বলে বাড়তি সুবিধা পাই, কিন্তু আমি মনে করি আমার সত্যিকারের পরিচয় আমার কাজে। মনে এতটুকু অহংকার না রেখেই বলছি, আপনারা আমার কাজের মধ্যেই আমাকে খুঁজে পাবেন।

তারপর কিছু গুণী মানুষজন আমাকে এক্‌জিবিশন করার জন্য উৎসাহ দেন। তাদের কাছ আমি চির কৃতজ্ঞ, তারা যে আমার ছবি পছন্দ করেছেন এবং আমাকে এক্‌জিবিট করার যোগ্য বলে মনে করেছেন। যেটুকু পরিচিতি পেয়েছি সবই তাদের জন্য। আমি খুব খুব খুশি আবার নতুন করে নিজেকে সময় দিতে পেরে, নিজের ভাল লাগাকে বাঁচিয়ে তুলতে পেরে।

সব শেষে বলি, বাতায়ন থেকে একদিন হঠাৎই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার কিছু ছবি পত্রিকার জন্য নিতে চাইলেন, আমিও দিয়ে দিলাম। একটা সাহিত্য পত্রিকায় আমার আঁকা ছবির মাধ্যমে অলংকরণ দেখে ভাল লাগছে, খুবই ভাল লাগছে। আপনারাও পত্রিকার পাতায় আমার পরিচয় পাচ্ছেন। তারপর… এখন আমিও তো বাতায়ন পরিবারেরই একজন সদস্য।


1 comment:

  1. অসংখ্য ধন্যবাদ 🙏🙏
    আমি খুবই আনন্দিত এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে 🙏🙏

    ReplyDelete

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)