চাওয়া
কিন্তু যারা শিশু নন, তাদের বায়না মেটাবেন কে? বস্তুত তাদের কোন চাহিদা সত্যিই প্রয়োজনীয় আর কোন চাহিদা আদৌ প্রয়োজনীয় নয়, তা নির্ণয় করার অধিকার কার? যদি না বড়রাই নিজেদের চাহিদা সম্পর্কে সচেতন হন।
প্রাচীন মুনিঋষি, সত্যিকারের যোগী সাধকদের কথা যদি ধরা যায়, জীবনধারণের প্রয়োজন ব্যতীত রিপুর দাসত্ব তারা করেননি, তাদের কথা স্বতন্ত্র। পরাধীন ভারতবর্ষের শেষ দিক থেকে যে সব শিল্পপতিদের দেখা যায় তারা নিশ্চয়ই তাদের স্বার্থ, প্রতিষ্ঠার কথা ভেবেছেন কিন্তু কোথাও সমাজের জন্য, সমষ্টির জন্য তাদের সহমর্মিতার কথা অস্বীকার করা যায় না।
বর্তমান সমাজের ভূমিকা কী? যে কোন রাজনৈতিক নেতা-ক্যাডার, শিল্পপতি, শিক্ষক বা যিনি যে স্তরেরই হোন-না-কেন। শুধু মাত্র নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা ছাড়া। ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই কেউ কেউ আছেন, কিন্তু সংখ্যায় তারা এতই নগণ্য অণুবীক্ষণ যন্ত্রেও তাদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই সীমাহীন আত্মতুষ্টি নিয়েই আমাদের চলতে হবে বাকি দিন! নাকি যার যার মন ও মননের কাছে উত্তর খুঁজবেন আজকের সমাজ।
ভালো।
ReplyDelete