মাত্রাহীন অযোগবাহ লেসবিয়ান ছুরি ও কোবরা জলাশয়
আমি কাকে দায়ী করতে পারি ধর্মাবতার? আমার সামনে থাকা একটা কৃষ্ণ ফলকে শুধু সাদা রঙের ফসফরাস ফুটে উঠছে যেখানে মৃত কুকুরগুলো তাদের পায়ের ছাপ ফেলে রাখতেই এক একটা চর্মরোগের উদ্ভব হয়েছে, শ্মশানে আমাদের জলপ্রপাতের রেখা,
আমি মানসদাকে বলেছিলাম তোমার পকেটে ২০০ টাকা দেওয়ার পর তোমার তিন পিস চক্রাকার মাছের খণ্ড কিনে নিয়ে যাওয়াই উচিত, কারণ প্রতিটি মা মাছেদের চক্রাকারে থাকা সুদর্শনের ওপর বসে থাকতে থাকতেই নিজেদের নব্বই বছরের মৃতজীবী আয়ুকে বিচ্ছিন্ন করে শ্মশানের চতুর্মুখী বারান্দায়, লাল আপেলের পীত মূর্ধন্য রোপন করতে পারে, দু বোতল রগরগে জল লুকিয়ে রাখে আমার থেকে অথচ তার শরীর থেকে সরীসৃপ রঙের আরব সাগর ঝরে পড়ছে দুটো হাতে সাপেদের খোলস ধরা ছিল। কোন শ্বাসকষ্ট নেই আমাদের
ফাঁসি নয় সপসপে কৃষ্ণসার মৃগ আমার নাভি দিয়ে
ছিটকে বেরিয়ে গেছে রাতের টেস্টিস ছিঁড়ে, কবরের পাশে মুদ্রাহীন কিন্নরের দল, বুকপকেটের অ্যালবাট্রস পর্বতের ইয়ং গুণাঙ্ক, আর
পার্থেনিয়ামের জননতন্ত্র বিহীন প্রস্রাব রুমে মুখোমুখি বসে আমরা আয়ন বিনিময়
করছি, আমি তো ধারালো ছুরির ওপরে মোমবাতির স্তন আর জঙ্ঘা তন্ত্রের উপর পুঁতে দিই
আধপোড়া ধূপের কঙ্কাল, মৃত্যুর জন্য এত বছর ধরে রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করছে লাল ডট
পেন্সিলের ভার্গব, চতুস্তলক কৈলাস অষ্টম প্রহরের ইন্দ্রপুরী দুই হাতে উর্বশীর
ছেঁড়া পাতলুন,
ছুরিকে সর্বদাই কেঁচোর মতো মনে হয় আমার, জিওগ্রাফিক মৃত্যুর আগে জিভে কোনদিন ১৮ টি আত্মার খণ্ডাংশ একসাথে নৃত্য করেনি,
আমার ঠিক তলপেটের বীজ থেকে একটা জল রঙের তিস্তা
নদী বয়ে যাওয়ার পর আমি কিছু ফেভি গাম আর রাতের ভি রঙের উপত্যকার ভেতরে অভিগত
গোলকের পৃথিবীর মরু অঞ্চলে গুঁজে দিয়ে আসি দুশ্চরিত্র পেন্ডুলামের নপুংসক অস্থি
কঙ্কাল।
চোখে সিফিলিসের জীবাণু নেই, কিছু লাল রঙের ফোলিক অ্যাসিডের
দুটো দাঁতভাঙা কঙ্কাল ছিল প্রস্তর যুগ থেকে, একটা খাদক ছিল অথচ তাদের উদ্বিগ্নতা
লুকোনোর জন্য ইটিজোলাম ০.৫ মিলিগ্রাম ছিল না, সাদা কাচ রঙের তরল পদার্থ জ্বলজ্বল
করছে চোখের ভিতর এখনই মাংসপিণ্ড থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসবে আরো কিছু নভশ্চর। আমার
গলায়, হাতে, তলপেটে, পিঠে, পেটে, ক্ষুদ্রান্ত্রে, বৃহদন্ত্রে কিছু লাল রঙের ঘুমসি
দিয়ে বেঁধে দিচ্ছে একেকটা রক্ত ক্ষরণের স্থান, বমি করলে সকলের লোহিত কণিকা গলে
যায় আপাতত দু’মুখো সাপ ভাবলেও আমি সারা শরীরে পারদের বৃত্ত এঁকে নিজেই নিজের
চারপাশে ভিনিগার ছড়িয়ে নেই যমপুরি আটকানোর জন্য, ঈশ্বর দধীচির ক্ষণিক মরচে রঙের
অস্ত্র ভেদ করে বেরিয়ে এসে লাল শুক্র দেশে হারিয়ে যাচ্ছেন খনিজ ভর্তি তরল কস্টিক
নিয়ে, আমার জন্মস্থান কোথায়? নীল পাতায় না যৌন গহ্বরপুর, না কৃষ্ণ গহ্বর, না
অতি পাতালিক কোন স্তরীভূত শিলার কাঞ্চনজঙ্ঘার সুবর্ণ ব্রহ্মাস্ত্রের ভেতর,
একটু গোলাপি মদ হবে বিভূতি? তোমার দীর্ঘ চুলের
ভেতরে বসে থেকে তোমার চর্মরোগ চুষে খাব আজ আমরা তিনজন
মৃত্যু কি হয়েছে না গত রাতে যে গলার কাছ দিয়ে দুটো সরু সাপের মতো নল ঢুকিয়ে রেখেছিল সে গতকাল মৃত্যুর মতো একটা তিহারে ঢুকে গেল, মৃত্যুতে নাকি তুলসী পাতার মতো ফলমূল আপেল তোয়ং দ্রব্যাদি আরো আরো পৃথিবীর আঠারোটা মহাজাগতিক কক্ষপথের ইলেকট্রন পূজার উপকরণ একসাথে ঢেলে দিতে হয়, পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করছেন, মন্ত্র উচ্চারণ করছে সম্মোহনের, একটু শান্তি নদীর প্রতিকূলের দিকেই যেতে ইচ্ছে করছে আমাদের
আমাকে হত্যা করার পর যারা একটি টেবিলের চারপাশে
কাঠের চেয়ারে বসে বসে মেপে নিচ্ছে রজঃতন্ত্রের নির্বিকল্প সমাধি তারা জানে
প্রত্যেকটা মানুষের পা থাকতে নেই যাদের ওজন ছিল গতরাতে আজ কেমন নৌকা বিলাস পর্বে
কিছু লিঙ্গ বর্ধক স্নায়বিক তরল খাওয়ার পর পৃথিবীর নিউক্লিয় উদ্যানে হারিয়ে
ফেলেছে তাদের ক্লোরোপ্লাস্টিক, ঝকঝক করছে গ্রাফাইটের চর্মরোগ এনকেফেলাইটিস আর
যক্ষা রোগের মতো যারা মাথার কক্ষপথে কাচ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ভেজা দরজার পাশে
তাদের স্নান ঘরের কোন গোপন কক্ষ থাকে না, আমি দুই হাতে তীব্র দহন যুক্ত সাবানের
ফেনার ভেতরে হলুদ বীর্য রস রেখে আসি ডিম ভর্তি কাঠের পাটাতনে, বাবা কেমন দুই হাতে
নাগাসাকির রক্তাক্ত খনি খুঁড়ছে
প্রত্যেকটি মৎস্যজীবী যারা মাঝ রাতের দিকে জমাট
বরফের ভেতর ঢুকিয়ে দেয় তাদের দুটো মৃত চোখ তাদের পাচনতন্ত্রের সব
সেন্ট্রোজোমগুলি একসাথে চন্দ্রমল্লিকার পারফিউম নামক এক অস্ত্রের ভেতরে ঢুকে ভিনিগারের
যৌন পদার্থ উড়িয়ে দিচ্ছে ১৮% পৃথিবীর দিকে, কৈলাসে আজকাল বৃষ্টির মতো তীব্র ধূসর
শ্মশানবন্ধু দেখা যায় কুচেলা গাছের বিষাক্ত রস খেতে খেতে নিজেদের শরীরের ভেতর
স্ত্রীলিঙ্গ জ্বরটিকে উধাও করে দিতে পারে
আজকাল কারো মোমবাতি রঙের মোম পেন্সিলে কেউ নিজেদের
৪২ উপবৃত্তাকার পর্বতের পাদদেশ আঁকতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেনি রাত্রিকালীন আগুন
পাখিদের বিদেহী আত্মার ভগ্নাংশ, আমি প্রতিদিন নিজের মৃত্যুস্থল থেকে ফিরে এসে
আবারো ডান দিক ঘুরে ঘুমিয়ে পড়ি অসম্ভোগ পদার্থের মতো, আমি বিষাক্ত নাচতে থাকি
ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো
লাল জবার মতো বৈসাদৃশ্য পাখিরা নদীর অনেক গভীর
থেকে তলদেশে যাওয়ার নামে এ পৃথিবীর স্তন চিবোচ্ছে
আমি একটা বৃশ্চিক রাশির মিথিলা উপবন থেকে বেরিয়ে
আসা উপর্মুন শিব উপাসক, স্নান করি ঈশ্বর সাজি, ভক্তির কমণ্ডলু সাজি আবারও
ঋষির পায়ের কাছে বসে অনন্ত জাম্ববতীর জন্য তপস্যা করি একটি পুত্র সন্তানের
নীল নিরাভরণ বাবা গোলাপি শাওয়ারের নীচে দুর্গন্ধময়
ওয়াশরুমের সবুজ পলিথিন মোড়া উচ্ছিষ্টের সাদা আরশোলা ঘোরা পাত্রে বমি করছে, ছোট
ছোট ফোরাটক্স দানার অদ্রবীভূত হাড় থেকে গন্ধ উড়ে যাওয়ার পর আমরা যারা দক্ষিণ
দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে ছিলাম তারা তিন তলার নীচে ছাতিম গাছে গোল হয়ে কাঁকড়া ডিমের
সাথে জল ঢালা মুড়ি গলায় ঢেলে নিয়েছিলাম উষ্ণতম রাতের সংক্রমণ ভেজা মৃত্যু দেখব
বলে, হাসপাতালে বসে থাকলে বোঝা যায় পৃথিবীর দুটি অধ্যায়ের প্লাস্টিক কোটেড দানা
দানা আগুনগুলো কেমন যৌনহীন জীবন কাটাচ্ছে, আমি দুটো হলদে রঙের ক্লোরোসিস পাতা
নিয়ে বিশুদ্ধ ঝাউবাগান থেকে তুলে আনি লিওকোপ্লাস্টিকের ঠোঁট, যারা এখনই শব
ব্যবচ্ছেদ করে নিজের মাথার স্ত্রী লিঙ্গ পোকাগুলোকে চকচকে ফর্সেপ দিয়ে দুটো ফাঁক
করে ঢুকিয়ে দিচ্ছে এ মৃত্যুর শেষ দ্রবণ কণিকার যুগান্তকারী আপেল দৃশ্য, আমাদের
সাদা সালোয়ারের একটা বুকপকেট ছিল যেখানে চা বাগানের মৃত অজগরদের ধরে রাখতাম। আর
অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল কিছু ড্রাগস ছড়িয়ে দিচ্ছি হাইড্রেনের নীচে এখনই আমাদের
কেউ ক্যালেন্ডার বা নিয়ে ঝুলিয়ে রাখবে জীবাশ্রহীন ভৌতিক দণ্ডের মতো আমাদের শরীরে
আর কোন গর্ভস্থ চাঁদের মুখমণ্ডল নেই। পিঁপড়েরা আমাদের মেরুদণ্ডটাকে কুরে কুরে
খাওয়ার নাম করে ভোগলিবস ৫০০ এম জি খাওয়াচ্ছে
আমাদের মাথায় চোখে আর বুকের ভিতরে জমে থাকা
লোমগুলো ক্রমশ সাদা হয়ে যাচ্ছিল, সাইট্রিক অক্ষমতার অ্যামিবা পাখিগুলোর না
রতিক্রিয়ার জন্য, আমি প্রতিদিন রাতে সালফিউরিক গলায় ঢেলে রাতের নির্জনতম
সরলবর্গীয় বারুদের নীচে উষ্ণতম ঘুমের তৃতীয় স্তনগুলোর কাঁকড়া গর্তে
স্নায়ুতন্ত্র দেখব বলে নিজের আধখানা শরীরকে ঢুকিয়েছি আমার মুখে চোখে দাঁতে,
ফেভিস্টিক লেগেছিল ব্রহ্মার অযৌন স্নান ঘরের শৃঙ্গার পরবর্তী সাপের নলাকার দেহ
ধারণের পর
১৩ টি হোমকুন্ডলীর নরম চন্দন ডগা, ঈশ্বরের মতো
উপত্যকাহীন রহস্য শরীর ধারণ করে ঘুমিয়ে যাচ্ছে অস্থিময়ের সাথে, যারা
কুমেরুর গভীর পাললিক খাদকগুলো নিয়ে সামান্তরিকের তৃতীয় বাহু বারবার গভীর গর্ভ
প্রদেশ থেকে শীঘ্রপতন জনিত পিথাগোরাসের ঠোঁটটিকে নিয়ে জলের অতল থেকে ডার্ক ক্যাভেন্ডিস
মার্কা রাতের গুহাচিত্র আবিষ্কার করে তাদের কড়ে আঙুলে বারবার ময়ূরীদের অশ্লীল
যৌন ইঙ্গিত পূর্ণ ডাকনাম লুকানো থাকে, একটা মৃত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন আমার
বুকের ডান দিকে যে সৈনিকেরা বাস করে তাদের সাথে মাঝে মাঝে মার্তন্ড উপবন থেকে ফিরে
আসা উচিত
এই তো হিস্টামিন শ্মশান পড়ে আছে, রাজপ্রাসাদ থেকে
ফিরে এলাম তৃতীয়বারের জন্য, বুকের আর কোন ধড়ফড় নেই শুধু দেখেছি কাঠের ভেতর থেকে
কীভাবে একটা মানুষ তৃতীয়বার অলৌকিক ভরদ্বাজ বংশীয় ছেড়ে চন্দ্রগুপ্তের মতো নীল
রাজসভায় বিলীন হয়ে গেছে, আমার হাতে মৃত হরিণের নাভি থেকে বেরিয়ে এসে রক্ত কোষের
আতর খাদ্য রস বানাচ্ছে একদল অযুগ্ম নাবিক, যাদের মৃত্যুর দশমিক স্থানের চারপাশে
বিষাক্ত নদীগুলো সরলবর্গীয় গাছের মতো ধনাত্মক হতে চাইছে
অ্যাট্রোপিন সালফেটের মতো কালো কাঁকড়া বিছারা এ জন্মের নেশাখোর দ্রব্যে আমার জানালা খুলে দিল আমি দুই হাতে সাপের প্যারেনকাইমা চিবোচ্ছি, ৩০° কাছের বিষ আর কিছু নয় আগুনের উভয় লিঙ্গ বারুদ স্তন
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment