বাতায়ন/গল্পাণু/১ম
বর্ষ/২৪তম সংখ্যা/২৪শে কার্তিক, ১৪৩০
গল্পাণু
রূপক ভঞ্জ
অশুভ-শুভ
শাড়িটি কিনেছিল গড়িয়াহাটের নামী দোকান থেকে। শ্যামলীর জন্য। পাত্রপক্ষের
দুবার অপছন্দ হতেই স্থান হোলো আলমারির এককোণে। অনাদরে।
গৌরী এবাড়ির ছোটজনের মেয়ে। শ্যামলীর চার বছরের ছোট। কাল আসবে গৌরীকে দেখতে। বাবা-মার
সঙ্গে ছেলেও।
বড়জা সুজাতা। এবাড়ির কর্ত্রী শাড়িটা আলমারি থেকে বের করে গৌরীকে সাজিয়েগুজিয়ে
দেয়। যথারীতি ছেলেপক্ষ খবর দেব বলে ফিরে যায়। সুজাতা জানে খবর আর আসবে না। খুশিটা
চেপে রাখে ভেতরে। যাতে কেউ না বোঝে।
পরদিন সকাল। আনন্দময় বাড়ি। ওপক্ষ ফোনে জানিয়ে দিয়েছে। সকলের মুখে এখন
অনুষ্ঠান সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা। চলছে শলাপরামর্শ।
একফাঁকে ছোট গিন্নি রান্নাঘরে ঢুকে সুজাতার কানেকানে বলে- বুঝলে তো দিদি, আসলে
শুভ-অশুভ বলে কিছু হয় না।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment