বাতায়ন/পরকীয়া/কবিতা/১ম
বর্ষ/২৬তম সংখ্যা/২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
পরকীয়া | কবিতা
দীপক বেরা
বাসনা ও অনন্ত আকুতি
কতদিন আর থেকে যাবে এই
নিদারুণ
একঘেয়ে স্যাঁতসেঁতে পুরনো গলিতে?
ভেবে দেখেছ কি— বাতিল হয়ে যাচ্ছে না তো
মনপাখিটার সকাল দুপুর সন্ধ্যা, কিংবা নির্জন রাত?
একঘেয়ে স্যাঁতসেঁতে পুরনো গলিতে?
ভেবে দেখেছ কি— বাতিল হয়ে যাচ্ছে না তো
মনপাখিটার সকাল দুপুর সন্ধ্যা, কিংবা নির্জন রাত?
বিষণ্ণ দরজা খুলে হলুদ
পাতারা ঝরে যাচ্ছে
ব্যালকনিতে ঝুলছে পিছুটানহীন গোলাপি অন্তর্বাস
এলোমেলো দমকা হাওয়ায় রোদেলা টিকিট কেটে
উড়ে যাবে না তো সে, ফুড়ুৎ করে কোনও নিরুদ্দেশে!
ক্রমাগত মন্থর আবেশে কুয়াশার চাদর সরিয়ে
সামাজিক কাঠামোবাদিতার দায় ঝেড়ে ফেলে দিয়ে
একটা চোরাগোপ্তা তির হানা দিচ্ছে না কি হৃদয়ে?
হৃদয়-হ্রদে পাথর পড়লে উচাটন মন উথালপাতাল
পেন্ডুলামের চলনগতিতে অনিয়মিত রেখাচিত্র
ঝাঁঝাঁ দুপুর, খাঁখাঁ নিঝুম পাড়া, একাকী বিছানায়
যখন তোমার মনের সফর ছুঁয়ে যায় শৃঙ্গ থেকে শৃঙ্গ
শরীর নিংড়ানো রস চুষে খায় মস্তিষ্কের ঘুণপোকারা
তখন ব্যালকনিতে তোমার গোলাপি অন্তর্বাসের
আদিম ঘ্রাণ কাছে টেনে নেয় বেপরোয়া যুবকটিকে
আচমকা বেজে ওঠে টুংটাং সুরেলা কলিং-বেল
পোষা অ্যালসেশিয়ানের তীক্ষ্ণ সন্দিগ্ধ চোখ এড়িয়ে
ব্যালকনি টপকে ঘরে ঢুকে পড়ে কার ক্ষণস্থায়ী ছায়া
রঙিন পর্দা উড়ে যায়, ফুলদানির ফুল নড়েচড়ে বসে
নিরীহ গৃহস্থের সভ্যতাভব্যতার ছক ভেঙে ছয়লাপ
আজ তুমুল অকালবর্ষণে ফিরতে চায় জোড়া শালিক
পালকের যে ওম, কোমল স্পর্শের যে শিহরণ লুকিয়ে
তার ইশারায় পবিত্র হেমলক পানে আকণ্ঠমগ্নতায়
অদ্ভুত নেশার বিজয় উল্লাসে মত্ত অশ্বমেধের ঘোড়া
শরীরের রক্তজালিকায় বিদ্যুৎলতার তীব্র ঝলক
সারা ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির দুপুর
পাঁজরে পাঁজর ঘষে লিখে রাখে ভালবাসার ঘ্রাণ
জীবনকে তাড়নার ঝটকা দিয়ে ক্ষণস্থায়ী বোধিলাভ!
পরকীয়ার সংজ্ঞা জানি
না, আইন জানি না
প্রহর শেষে সামাজিক সমষ্টির বেড়াজালে পড়ে
যুবক ও যুবতীটির কী হয়েছিল, তাও জানি না...
শুধু পড়ে থাকে—
কিছু দ্বিধাহীন ভাষা, খাজুরাহো ধ্বংসাবশেষ
পড়ে থাকে জোড়া শালিকের অনন্ত আকুতির অনুষঙ্গ
শত জন্মের বাসনার চিরসুখময় আদিসত্তা...
ব্যালকনিতে ঝুলছে পিছুটানহীন গোলাপি অন্তর্বাস
এলোমেলো দমকা হাওয়ায় রোদেলা টিকিট কেটে
উড়ে যাবে না তো সে, ফুড়ুৎ করে কোনও নিরুদ্দেশে!
ক্রমাগত মন্থর আবেশে কুয়াশার চাদর সরিয়ে
সামাজিক কাঠামোবাদিতার দায় ঝেড়ে ফেলে দিয়ে
একটা চোরাগোপ্তা তির হানা দিচ্ছে না কি হৃদয়ে?
হৃদয়-হ্রদে পাথর পড়লে উচাটন মন উথালপাতাল
পেন্ডুলামের চলনগতিতে অনিয়মিত রেখাচিত্র
ঝাঁঝাঁ দুপুর, খাঁখাঁ নিঝুম পাড়া, একাকী বিছানায়
যখন তোমার মনের সফর ছুঁয়ে যায় শৃঙ্গ থেকে শৃঙ্গ
শরীর নিংড়ানো রস চুষে খায় মস্তিষ্কের ঘুণপোকারা
তখন ব্যালকনিতে তোমার গোলাপি অন্তর্বাসের
আদিম ঘ্রাণ কাছে টেনে নেয় বেপরোয়া যুবকটিকে
আচমকা বেজে ওঠে টুংটাং সুরেলা কলিং-বেল
পোষা অ্যালসেশিয়ানের তীক্ষ্ণ সন্দিগ্ধ চোখ এড়িয়ে
ব্যালকনি টপকে ঘরে ঢুকে পড়ে কার ক্ষণস্থায়ী ছায়া
রঙিন পর্দা উড়ে যায়, ফুলদানির ফুল নড়েচড়ে বসে
নিরীহ গৃহস্থের সভ্যতাভব্যতার ছক ভেঙে ছয়লাপ
আজ তুমুল অকালবর্ষণে ফিরতে চায় জোড়া শালিক
পালকের যে ওম, কোমল স্পর্শের যে শিহরণ লুকিয়ে
তার ইশারায় পবিত্র হেমলক পানে আকণ্ঠমগ্নতায়
অদ্ভুত নেশার বিজয় উল্লাসে মত্ত অশ্বমেধের ঘোড়া
শরীরের রক্তজালিকায় বিদ্যুৎলতার তীব্র ঝলক
সারা ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির দুপুর
পাঁজরে পাঁজর ঘষে লিখে রাখে ভালবাসার ঘ্রাণ
জীবনকে তাড়নার ঝটকা দিয়ে ক্ষণস্থায়ী বোধিলাভ!
প্রহর শেষে সামাজিক সমষ্টির বেড়াজালে পড়ে
যুবক ও যুবতীটির কী হয়েছিল, তাও জানি না...
শুধু পড়ে থাকে—
কিছু দ্বিধাহীন ভাষা, খাজুরাহো ধ্বংসাবশেষ
পড়ে থাকে জোড়া শালিকের অনন্ত আকুতির অনুষঙ্গ
শত জন্মের বাসনার চিরসুখময় আদিসত্তা...
Khub sundar 🌷
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteআন্তরিক ভালোবাসা ও অশেষ ধন্যবাদ।
ReplyDelete