প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

দহন | মানুষকে মানুষের মূল্য দিন

বাতায়ন/দহন / কবিতা / ৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ ,   ১৪৩২ দহন   | সম্পাদকীয় "এর মধ্যেই আছে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা, সে-কোন সন্ত্রাসবাদীই হ...

Monday, May 19, 2025

অধিকার | জনা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাতায়ন/দহন/ছোটগল্প/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | ছোটগল্প
জনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
অধিকার

"ঘরের ছোট জানলা দিয়ে সামান্য চাঁদের আলো এসে বিছানায় পড়ে। মীরা চোখ বুজে ঝিঁঝিঁর আওয়াজ শুনতে পায়সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া এসে বিছানার চাদর উথালপাতাল করে।"


মীরার আজ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন। বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। মুখের বলিরেখাগুলো স্পষ্ট! পাশের বাড়ির এক তরুণী মীরাকে সাজিয়ে দিয়েছে। নীল সিল্কের শাড়িতে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় মীরা। তার প্রথম স্বামী নিখিল গত হয়েছেন প্রায় পাঁচবছর। প্রাইভেট কোম্পানির কাজে তাঁর পেনশন ছিল না বললেই চলে। মীরার ছেলে মেডিকেল রিপ্রেসেন্টেটিভের কাজ নিয়ে বাংলার নানাপ্রান্তে ঘোরে, মায়ের প্রতি টান না থাকায় বাড়িতে আসে না। শেষে মীরার ছোটভাই দিদির দ্বিতীয় বিয়ের উদ্যোগ নেয়। সমাজ যে ভাবেই দেখুক, এই বয়সে যে অবলম্বন দরকার মীরা বোঝে।

শীতলতার খোঁজে | প্রতীতি সরকার

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
প্রতীতি সরকার
 
শীতলতার খোঁজে
 

একটু শীতলতার খোঁজে
হন্যে হয়ে শহরের আনাচেকানাচে
সমস্ত কলতলিতে গা ধুয়েছি-
আশেপাশের গাঁয়েগঞ্জে
ছোটবড় সব পুকুরেই ডুব দিয়েছি-
সারারাজ্য জুড়ে যত নদী বয়ে গেছে
সাঁতার কেটেছি দীর্ঘকাল তাদের শরীরে-
পৃথিবীর সমস্ত সাগরের নোনা জলে
ভেসে থেকেছি অগুনতি বেলা-

স্বার্থ | অর্পিতা সাহা

বাতায়ন/দহন/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | গল্পাণু
অর্পিতা সাহা
 
স্বার্থ

"বয়স্ক বাবা-মায়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রিয়ার উপরে তাইতো রিয়া এত ছুটে বেড়ায় অর্থের সংস্থানে। অরণ্যকে ভালোবাসে ওস্বপ্ন দেখে নিশ্চিন্ত একটা সুখী নীড়ের।"


ঘরে ঢুকেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জলের বোতলটা বের করে গলায় ঢালে রিয়া, উফ কী সাংঘাতিক গরম পড়েছে আজ। সারাটা দিন ঘুরে ঘুরে সেলসের কাজ করতে হয় ওকে, মাথার উপর ফ্যানটা ছাতার মতন ঘুরছে গায়ে হাওয়া লাগছে কই... ঠান্ডা জলটা পান করে একটু যেন দহনজ্বালা জুড়োল

গভীর ক্ষততে | জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
 
গভীর ক্ষততে
 

একটা মুগ্ধ খোলসের দুর্নিবার আকর্ষণে
চিবুকে নামে নদী, ঘেমে ওঠে পিঠ
এমনই সব ঐশ্বর্যে পুড়ে যায় দুচোখের মণি
রহস্য লুকোয় আঙুলের পরিচয়

আস্ফালন | মহুয়া গাঙ্গুলী

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মহুয়া গাঙ্গুলী
 
আস্ফালন
 

প্রলেপে থাক নাহয় কিছু ব্যথা,
প্রলাপের কিছু কথাতেই আজও জীবন গাঁথা।
ধন্দে থাকাগুলো ধাঁধানো আলোর ধাঁচে,
সরকিছু আড়াল রেখে ভালোলাগায় মাতে।

পর্ণাকে চিরসখা | অজয় দেবনাথ ও সুচরিতা চক্রবর্তী




 
বাতায়ন/দহন/যুগলবন্দি/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | যুগলবন্দি | অজয় দেবনাথ ও সুচরিতা চক্রবর্তী
অজয় দেবনাথ
 
পর্ণাকে চিরসখা

"ব্রতপালনের মতো শুধুই জীবনধারণ। বেশ আধুনিক জীবন বটে! যাবে না খবর, শুধু অসুস্থতা নয় মৃত্যুর খবরও যাবে না। যোগাযোগ না রাখলেই ল্যাঠা চুকে যায়।"


"কলেজ ইউনিয়নের তোমার পাশাপাশি কী যেন নাম মেয়েটার পাপিয়া না পাপড়ি সে যখন তোমার পাশাপাশি মিছিলে হাঁটত তোমাকে জলখাবার এগিয়ে দিতসবসময় বিজিতদা বিজিতদা বিজিতদা।"


পর্ণা,
 

তোমার দেরি দেখে ভেবেছিলাম এটাই বুঝি জীবন, এই-ই বুঝি মানুষের ধর্ম! বুঝি-বা এবার সত্যি-সত্যিই মুক্তি নিলে! আমার মতো ক্যাবলা ভ্যাগাবন্ডকে এ জগতে কার আর প্রয়োজন বলো? নইলে কে আর এভাবে জীবন কাটায়!

দহন | ফটিক চৌধুরী

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
ফটিক চৌধুরী
 
দহন
 

দমবন্ধ হয়ে আসে, এতই দহন
কংক্রিট শহর, এত হাইরাইজ!
এই শরীর কী করে করি যে বহন
দাবদাহ, কী করে করি কম্প্রোমাইজ!

দহন | মানুষকে মানুষের মূল্য দিন



বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | সম্পাদকীয়

"এর মধ্যেই আছে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা, সে-কোন সন্ত্রাসবাদীই হোক আর রাষ্ট্রনেতাই হোক। দেশ-কাল-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যুদ্ধ বা সন্ত্রাসের ভয়াবহ পরিণামের পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতিশোধের কথা মাথায় রাখা মানুষেরই কর্তব্য।"


মানুষকে মানুষের মূল্য দিন
 

গ্রীষ্মে গরম পরবে আম-কাঁঠাল পাকবে এটাই বাংলার স্বাভাবিক ঋতু-বৈচিত্র্য, কিন্তু তা মানুষের সহ্যশক্তির সীমা অতিক্রম করলে অবশ্যই সংকটের। উষ্ণায়নের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই সচেতন করে আসছেন, কিছু সংখ্যক মানুষের অসচেতনতার ফলে আপামর মানুষকে মূল্য দিতে হচ্ছে এবং আরও হবে। যদিও স্বার্থসর্বস্ব বিত্তবানদের তাতে কিছু আসবে যাবে না, তাদের প্রয়োজন শুধুই বর্তমান।

পোড়া | তূয়া নূর

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
তূয়া নূর
 
পোড়া

এত সুখে থাকা ভাল না
একটু হলেও কষ্ট পাওয়া ভাল।
একটু কষ্টে থাকা ভাল
অন্তত জীবনে একদিন নাহয় অভুক্ত থাকার কষ্ট,
বুকের ভেতর একটা পোড়া কষ্ট থাকা ভাল,
একটু হলেও মন খারাপ হওয়া ভাল,
তাহলে সুখের মূল্য বোঝা যায়,
যেমন রাত সৃষ্টি করে একটা দিনের পরিকল্পনা।  

JUSTICE বলে কিছু হয়না | ডঃ বিশ্বজিৎ মজুমদার

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
ডঃ বিশ্বজিৎ মজুমদার
 
JUSTICE বলে কিছু হয়না
 
YOUR ERRONEOUS ZONES—BY—WAYNE W DYER পড়ছিলাম—
 

DON’T LOOK FOR JUSTICE—

চাঁদের মতো | অলোক মিত্র

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
অলোক মিত্র
 
চাঁদের মতো
 

বস্তুত এমন চাঁদের রূপ দেখিনি কখনও আগে
অমাবস্যায় ছোট ছোট দুখ বেদনাগুলো
ভেসে যায় ভাসানের জলে

শেষ কোথায়? | সঙ্ঘমিত্রা দাস

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
সঙ্ঘমিত্রা দাস
 
শেষ কোথায়?
 

দিন শেষে সন্ধে নামে-
শহর পথে শত সহস্র শ্বাপদের আনাগোনা,
লোলুপ হায়না খোঁজে নারী শরীর নির্জনে,
ধূর্ত শৃগালের উল্লাস অন্ধকারে দাপিয়ে বেড়ায়,
শকুনের দল তাজা রক্তের লোভে ছুটে আসে,
কাজ সেরে ঘরে ফেরার পথে মেয়েটা
শব হয়ে পড়ে থাকে মাঝ রাস্তায়।

কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই


 

বাতায়ন/দহন/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই
কবি-পরিচিতিসহ
কবিতাগুচ্ছ
পূর্ণেন্দু পত্রী

"সাহিত্যপত্র দীপালি-তে তার আঁকা ও লেখার সূচনা হয়। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হয়ে পড়লে রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা উভয়েই একসঙ্গে চালাতে থাকেন।"



স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই
 

তুমি বললে, রৌদ্র যাও, রৌদ্রে তো গেলাম
তুমি বললে, অগ্নিকুণ্ড জ্বালো, জ্বালালাম।
সমস্ত জমানো সুখ- তুমি বললে, বেচে দেওয়া ভালো
ডেকেছি নীলাম।

প্রস্তর যুগ | মণিপদ্ম দত্ত

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মণিপদ্ম দত্ত
 
প্রস্তর যুগ
 

এই নীরবতা জমতে জমতে পাথর হবেই।
সময় লাগবে।
কিংবা লাগবে না।

কেন এ শৃঙ্খল | মধুপর্ণা বসু

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মধুপর্ণা বসু
 
কেন এ শৃঙ্খল
 

কী করে জীবনকে দেখি,
পদক্ষেপে প্রতিকূল নাগপাশে
দেখি শুধু ম্রিয়মাণ হৃদয়ের ভিড়,
নিয়ত আমার আশেপাশে।

চীনদেশে, কুন মিং স্টোন ফরেস্ট | অঞ্জনা মজুমদার

বাতায়ন/দহন/ভ্রমণ/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | ভ্রমণ
অঞ্জনা মজুমদার
 
চীনদেশে, কুন মিং স্টোন ফরেস্ট

"চীনের বিখ্যাত প্রাচীরও দেখেছি। বেশ অনেকটা উঠেছি। সত্যি কিনা জানি না গল্প আছে যে ওই প্রাচীর গোটা ঘুরে আসতে বছরখানেকের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু একই ধরণের প্রাচীর আমি আমাদের রাজস্থানেও দেখেছি।"


আমরা চীনে বেড়াতে গিয়েছি ২০১৯ সালে। বিশাল দেশ চীন। অজানা ভাষা, কনডাক্টেড ট্যুরে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছি। তার মধ্যে একটা প্রাকৃতিক বিস্ময় হল স্টোন ফরেস্ট। এটি কুন মিং-এ অবস্থিত। এর কথাই বলব।

স্টোন ফরেস্ট

দহনের জ্বালায় | দেবারতি গুহ সামন্ত

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
দেবারতি গুহ সামন্ত
 
দহনের জ্বালায়
 

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট দেখছিলাম,
আমায় ঘিরে রয়েছে আগুনের তপ্তবলয়।
উত্তাপে জ্বলছিল না শরীর,
টের পাচ্ছিলাম, পুড়ছে মন।

দহন-স্নান | দীপক বেরা

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
দীপক বেরা
 
দহন-স্নান
 

সেদিন চৈত্রমাস, মায়া মেঘ নির্জনতা
সিঁদুরকৌটোর ভেতর একান্তে লুকিয়ে রাখা
একটি লেবুফুলের বিষণ্ণ কুঁড়ি
কোনো এক ইমনসন্ধ্যায় পরম নির্ভরতায়
ফুটে ওঠার গোপন আবেদন রেখে
চলে গেছে প্রেম নির্জনতায় নির্ঝঞ্ঝাট
উন্মুল উদ্বাস্তু মানুষের কোনও ছায়া উপনিবেশে
ফেলে রেখে গেছে কিছু জ্যামিতিক বিন্যাস
সাময়িকতার তাপবর্জিত খুলে রাখা অন্তর্বাস
মাথার কাঁটা, টিপ, পরিচিত সুগন্ধি — পূরবীরাগের
সু-চিন্তিত পরিশীলিত স্পর্শকাতর কিছু সংক্রমণ
যা নারীর গোপনীয়তার শাশ্বত শিল্পধর্মী ধ্রুপদ

দহন | অলক চক্রবর্তী

বাতায়ন/দহন/হলদে খাম/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | হলদে খাম
অলক চক্রবর্তী
 
দহন


"তুমি তো জানো কবেই আমার গান বন্ধ হয়ে গেছে। সুর আসে না। জীবনটা আমার ধু-ধু মরুভূমি হয়ে গেল। শুধু তোমার সঙ্গ লাভের সোনালি সময়টুকু ছাড়া।"



প্রিয়তমা দামিনী আমার,
 

নদীর ওপার থেকে মাঝে মাঝেই চিঠি পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি। একেক চিঠি পোড়ার গন্ধ এক-একরকম। তুমি চিঠিগুলো না পোড়ালে বুঝতেই পারতাম না; প্রতিটি চিঠি বৈশিষ্ট্যে অনন্য। প্রতিটি চিঠি স্বাদে-গন্ধে-অনুভূতিতে অতুলনীয়। স্বতন্ত্র। তাই এক-এক জ্বলন্ত চিঠি থেকে এক-একরকমের গন্ধ বাতাসে মেশে। বাতাস সযতনে আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে পৌঁছে দিয়ে অপেক্ষা করে আমার কী প্রত্যুত্তর আছে তোমাকে দেবার। বাতাস কী বেআক্কেলে বলো। আমি বাতাসকে জানাবো কেন—আমার দহন জ্বালা।

গ্রীষ্ম | বিধাত্রী চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
বিধাত্রী চট্টোপাধ্যায়
 
গ্রীষ্ম
 

আজ গ্রীষ্মতে অগ্নিবর্ষা দাবদাহ উদ্দাম
শহর হচ্ছে নাজেহাল আর পুড়ে ছারখার গ্রাম।
বৃষ্টির দিকে পৃথিবী তাকিয়ে অস্থির রাতদিন
অসহ্য এ যন্ত্রণা যেন মনে হয় সীমাহীন।

উপেক্ষায় উপেক্ষিত | কবিতা সামন্ত

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
কবিতা সামন্ত
 
উপেক্ষায় উপেক্ষিত
 

আঁধারকে উপেক্ষা করে এসেছি এতকাল।

কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সেই সবও তুমি

বাতায়ন/দহন/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সেই সবও তুমি
পূর্ণেন্দু পত্রী
 
সেই সবও তুমি
 

তোমাকেই দৃশ্য মনে হয়।
তোমার ভিতরে সব দৃশ্য ঢুকে গেছে।
কাচের আলমারি যেন, থাকে থাকে, পরতে পরতে
শরতের, হেমন্তের, বসন্তের শাড়ি গয়না দুল,
নদীর নবীন বাঁকা, বৃষ্টির নুপুর, জল, জলদ উদ্ভিদ।

জানালাটা খোলা থাক | কাজল আচার্য

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
কাজল আচার্য
 
জানালাটা খোলা থাক
 

দক্ষিণের জানলাটা খোলা যায় না আর
গা ঘেঁষে আরো এক বিশাল অট্টালিকা
পাখির ডাক কমে এসেছে

মৃতেরা কথা বলে না | মলয় সি চন্দ্র

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মলয় সি চন্দ্র
 
মৃতেরা কথা বলে না
 

কিছু শব্দ অবাঞ্ছিত ভিড় করে
কিছু শব্দ তৈরি করে হাহাকার
অনবরত ভেঙে যেতে যেতে নুয়ে পড়ি
রুদ্ধসংগীত শুরু হয়, গোধূলির
শেষে আলো-আঁধারির ঘেরাটোপে।

দহন— ১ | উজ্জ্বল পায়রা

বাতায়ন/দহন/কবিতাণু/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতাণু
উজ্জ্বল পায়রা
 
দহন— ১
 
এক
 

গোলাপী আজ কাঠের উনানে রান্না করতে গিয়ে
পা-টা পুড়িয়ে ফেলেছে
পোড়া পায়ে মলম লাগাতে লাগাতে
ভাত বেড়ে দেয় সংসারের পাতে...

চাঁদের মুখে চুমু | মলয় সরকার

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
মলয় সরকার
 
চাঁদের মুখে চুমু
 

আমরা দুজনে যখন
পূর্ণিমার চাঁদকে প্রথম চুমু খেয়েছিলাম
চাঁদ হেসেছিল।

চর্যাপদের তিন সর্গ... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
রতনলাল আচার্য্য
 
চর্যাপদের তিন সর্গ...
 

কাজলরেখা ভালো নেই। পঞ্চসতীর উত্তরসূরী হয়েও এখনও সময়ের নাগপাশে বন্দি। ধুর্জটির অটল আসনের কাছে এখন আর দয়া চান না বাহু তুলে। অভুক্ত নরনারায়ণরা ঘুরপাক খাচ্ছেন তার চারপাশে। পালনকর্তার ঘুম ভাঙেনি এখনও।

এক লহমায় | অর্পিতা দাস

বাতায়ন/দহন/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | গল্পাণু
অর্পিতা দাস
 
এক লহমায়

"সেবির কথায় সম্মতি জানিয়ে শাশুড়িমা এরা হলো শিক্ষিতাবুঝলি রে সেবি, (মুখটিপে মুচকি হেসে) এরা কী আর আমাদের মতো।"


অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে সিদ্ধার্থ রাইমাকে নীচে পাঠায়। আলুথালু বেশে রাইমাকে নীচে নামতে দেখে শাশুড়িমা মধুছন্দাদেবী গলা খাঁকারি দিয়েতা চাকরি তো গ্যাছে, এবার সংসারে একটু মন দাও। রাইমাকে চেয়ারের হাতল ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুনরায় আদিখ্যেতা, হুঁ...

দহন | সুবীর কুমার ঘোষ

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
সুবীর কুমার ঘোষ
 
দহন
 

জ্বলছে না, তবু দহন লেগে আছে—
অদৃশ্য এক শিখা, গিলে খায় স্বরবর্ণ।
আমার ঘর, আমার শরীর,
সবই এখন দহনস্থল।

আকন্দ ঝোপের জোনাকি | সুকান্ত মন্ডল

বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
সুকান্ত মন্ডল
 
আকন্দ ঝোপের জোনাকি
 

যে পর্যন্ত উঠে গেছে ভাগ্যরেখা হৃদয়রেখাকে স্পর্শ করে।
তুমি বৃহস্পতির মাউন্ডে আছ।
আমি জন্মের সুন্দরবনে হেতালের আখড়ায়
                      শ্বাসমূলে ফসফরাস আঁকছি

জাল— মাছ কাটতে না জানলেও কিছু মানুষ জানে


Popular Top 10 (Last 7 days)