"ঘরের ছোট জানলা দিয়ে সামান্য চাঁদের আলো এসে বিছানায় পড়ে। মীরা চোখ বুজে ঝিঁঝিঁর আওয়াজ শুনতে পায়, সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া এসে বিছানার চাদর উথালপাতাল করে।"
মীরার আজ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন। বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। মুখের বলিরেখাগুলো স্পষ্ট! পাশের বাড়ির এক তরুণী মীরাকে সাজিয়ে দিয়েছে। নীল সিল্কের শাড়িতে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় মীরা। তার প্রথম স্বামী নিখিল গত হয়েছেন প্রায় পাঁচবছর। প্রাইভেট কোম্পানির কাজে তাঁর পেনশন ছিল না বললেই চলে। মীরার ছেলে মেডিকেল রিপ্রেসেন্টেটিভের কাজ নিয়ে বাংলার নানাপ্রান্তে ঘোরে, মায়ের প্রতি টান না থাকায় বাড়িতে আসে না। শেষে মীরার ছোটভাই দিদির দ্বিতীয় বিয়ের উদ্যোগ নেয়। সমাজ যে ভাবেই দেখুক, এই বয়সে যে অবলম্বন দরকার মীরা বোঝে।