বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন , ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয় প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...
"দোলে রং খেলো এখনও? রং খেলে ভূত সাজো? থুরি ভূত না পেত্নি। আমি আর ভূত সেজে রং খেলি না, কার সঙ্গে খেলব? আমার রাখিকা কবেই চলে গেছে আমাকে ছেড়ে। ইচ্ছা করে না আর।"
"কী সাংঘাতিক মন কেমন করা একটা ঋতু এই বসন্ত। তার ওপর তোমার চিঠি হাতে। এ তো শুধু হাতে লেখা কয়েকটা কথা নয় যেন তুমিও এসে বসেছ পাশের চেয়ারে।"
"নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লালসা, অপরিমিত লোভের শিকার হয়ে পশুর থেকেও অধমভাবে জীবনের সমস্ত স্বপ্ন, শিক্ষা, বিশ্বাস জলাঞ্জলি দিয়ে অকালে ঝরে যেতে হয়।"
"এবার দোলের ছুটি দুদিন। পরের দিন আবার রবিবার। আরো দুদিনের ছুটি অ্যাপ্লাই করে সাথী কার্শিয়ং যাবার জন্য টিকিট কাটল। এই প্রথম সুবীর ওর কাছে নেই। কোলকাতা যেন গিলতে আসছে ওকে। ট্রেনের টিকিট, হোটেল বুকিং সব সেরে মাকে জানাল।"
"উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপ্রতিভার অধিকারী এই দুই ভাইই ছিলেন অত্যধিক নেশাসক্ত। নানা ধরনের নেশা করতেন তাঁরা। তাঁদের প্রধান নেশা ছিল ড্রাগের। মাত্রাতিরিক্ত নেশা, সীমাহীন দারিদ্র্য, অবিশ্বাস্য আত্মনিপীড়ন- এইসব কিছুই ছিল তাঁদের অকালমৃত্যুর কারণ।"
"শাড়িতে শাড়িতে আকাশ চমকায়। মনখারাপের এই দেশে মেঘে মেঘে ভাসে চুপড়ি-সিঁদুর। আমার ঘরে শনি, মরচে ধরা লোহা আর মৃদু বজ্রপাত! গোপনীয়তার যাবতীয় রং আমার আত্মগোপনের পাতায় সঙ্গম-শূন্য বৃষ্টিনীল মলাটে ঢাকা।"
"রূপাঞ্জনের হাতের রক্ত পলাশের মালা এগিয়ে যাচ্ছে নীলাদ্রির দিকে। বসন্তের পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুদের করতালি আর পলাশে মোহিত ওরা দুজন শপথ নেয় একসাথে পথ চলার।"
"যখন বায়ু কোণে মেঘ জমে আর নৈঋত কোণ থেকে তেরছা রোদ তোমাকে উজ্জ্বল করে—চোখ ফেরাতে পারি না। তুমি নির্বিকারে বৃষ্টিতে ভেজো, ভাবি আমার অপেক্ষায় তুমি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করলে। তুমি রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থাকলে, বৃষ্টিতে ভিজলে, মায়াবী জ্যোৎস্নায় জাগলে সারা রাত।"
"কীভাবে সূর্যের নাগাল পেলাম জানি না। কীভাবে লতাগুল্ম ছাড়িয়ে ছুটে গেলাম জানি না। সেদিনের মতো আজও লুব্ধক, কালপুরুষের অমোঘ টানে। অরণ্যের গম্বুজে, সপ্তর্ষিমণ্ডলের নীহারিকায়, মিল্কি গ্যালাক্সিতে।"
"সেদিন দুলাল গম্ভীর মুখে বলল, ‘তোমার বোনের বায়না রক্ষার্থে কাল আমরা শান্তিনিকেতন যাচ্ছি।’ সারা রাস্তা নিশ্চুপ দুলাল। ভয় করছিল সুনীতার।"
"লাল গোলাপে লাল রং নেই। শুনতেও কেমন অবাক লাগে। লাল গোলাপে যখন সাদা আলো পড়ে তখন গোলাপের পৃষ্ঠটি লাল ব্যতীত অন্যান্য সকল তরঙ্গকে শোষণ করে নেয় এবং লাল রঙের তরঙ্গগুলিকে প্রতিফলিত করে।"
