প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Saturday, September 28, 2024

শারদ | কবিতাগুচ্ছ | কবি সলিল চৌধুরী | একগুচ্ছ চাবি

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতাগুচ্ছ/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতাগুচ্ছ

কবি পরিচিতিসহ
কবি সলিল চৌধুরী

একগুচ্ছ চাবি


উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি শুধু 
একগুচ্ছ চাবি 
ছোটো বড় মোটা বেঁটে 
নানা রকমের নানা ধরণের চাবি 
মা বললেন, যত্ন করে তুলে রেখে দাও।

শারদ | বৃষ্টিপাতের পরে যেটা ভীষণ মনে পড়ে... | বীথি চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

বীথি চট্টোপাধ্যায়

বৃষ্টিপাতের পরে যেটা ভীষণ মনে পড়ে...


কোনও দোকানে পাওয়া যাবেনা বৃষ্টি আর মেঘ,
শপিং মলে সাজানো নেই হাওয়ার গতিবেগ। 
বৃষ্টি যদি না আসে তবে কোথায় যাবে লোকে
পয়সা দিয়ে কেনা যাবেনা আকাশ থেকে ওকে। 

শারদ | যে ফিরে আসে | সাগরিকা রায়

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ধারাবাহিক/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ধারাবাহিক গল্প

সাগরিকা রায়

যে ফিরে আসে

[১ম পর্ব]

"ছেলেকে দোকান গুছিয়ে দিয়ে দুদিন পরে বেরিয়ে গেল নৃপেন। তখন আকাশে সোঁদা গন্ধ নিয়ে মেঘের দল ছুটে যাচ্ছে বীরভূমের দিকে। বিডিও অফিসের পাশের কদম গাছ থেকে জমে থাকা জলের সঙ্গে কদমের সুবাস নেমে আসছে। ভারি সুন্দর এই জীবন। নৃপেন গান ধরেছে, ও দরদী, কী মাছ ধরিছ বঁড়শি দিয়া…।"


বিধান মার্কেট থেকে এক বস্তা চাউমিন কিনেছে নৃপেন গোঁসাই। এদিকে মেঘ করেছে ঈশান কোনে। রাধাবাবু হেঁকে বললেন, “দে নিপেন, দেরি কোরো না। এবারে গাড়ি ধরো। রাস্তায় বৃষ্টি পাবে মনে হচ্ছে।”

শারদ | গান | যশোধরা রায়চৌধুরী

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

যশোধরা রায়চৌধুরী

গান


তোমরা গাও সেই গান
কানে টেনে আনবে কান
প্রাণ টেনে আনবে প্রাণ

শারদ | শেষ থেকে শুরু [১ম পর্ব] | পারমিতা চ্যাটার্জি

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ধারাবাহিক/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ধারাবাহিক উপন্যাস

পারমিতা চ্যাটার্জি

শেষ থেকে শুরু

[১ম পর্ব]


"হ্যাঁ তোমার সাথে আমি গান গাই, ভাল ভদ্র ছেলে বলে মানি তাবলে কোনভাবেই তোমাকে আমার প্রেমিক বা জীবনের ভালবাসা বলে ভাবতেই পারি না। তুমি তো আমার যোগ্য নও তাহলে এ প্রস্তাব নিয়ে কেন এলে? বউয়াদা মুখটা কালো করে বলল সত্যি রে বড় ভুল হয়ে গেছে, আর কোনদিন তোর সামনে আসব না, আমায় ক্ষমা করে দিস।"


জীবনের রং মাঝে মাঝে বদলে যায়। যে সুখের স্বপ্ন নিয়ে একদিন ঘর বেঁধেছিল মনকলি, সে ঘর তার ভেঙে গেছে। নিজেকে বড় দামী মনে করত মনকলি। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে, পড়াশোনায় খুবই মেধাবী সেই সাথে অসাধারণ গানের গলা। পাড়ার ফাংশনে তার গান, সংলাপ থাকবেই। তার সাথে গান গাইত একটি মাড়োয়ারি ছেলে, কিন্তু অসম্ভব রবীন্দ্রনাথের ভক্ত, বারবার কী যেন এক অমোঘ টানে ছুটে যেত শান্তিনিকেতন, ছেলেটির নাম ছিল রাজকুমার, সবাই তাকে ডাকত বউয়া বলে। মনকলিও তাকে বউয়াদা বলেই সম্বোধন করত। আর মনকলিকে সবাই তার বাড়ির নাম অর্থাৎ মিতুল বলে ডাকত। মিতুলের চেহারা খুবই ফুটফুটে, টকটকে ফর্সা রং, এক ঢাল চুল, দুটি বড় বড় কাজল কালো চোখ, অনেকেই তাকে ভীষণ পছন্দ করত কিন্তু বউয়াদা যে তাকে নিজের মনে এক গভীর ভালবাসায় আবদ্ধ করেছিল তা সে জানতেই পারেনি।

শারদ | সংশয় | সৈয়দ হাসমত জালাল

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

সৈয়দ হাসমত জালাল

সংশয়


যদি ভালোবাসো, এত সংশয় কেন গাঢ় কুয়াশার মতো
আচ্ছন্ন করেছে পথ, দৃষ্টিও রুদ্ধ বুঝি-বা, দু'চোখ আনত,
মিলিয়ে গিয়েছে দূরে বিষণ্ণ স্বর, বৃষ্টিতে মেঘনির্ঘোষে,
একলা হৃদয় হাহাকার করে মধ্যরাতের অশ্রুত মালকোষে

শারদ | শারদীয়া | চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

শারদীয়া


মহালয়া বাজছে এখন।
স্থলপদ্ম জেগে ওঠে।
নতুন ডাকের সাজ। নব মণ্ডপ।

শারদ | দুর্বৃত্ত সাবধান


 

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১
শারদ | সম্পাদকীয়

দুর্বৃত্ত সাবধান


"আগমনীর আগমন আসন্ন। বোধন হতে দেরি নেই আর। জনগণ বিশ্বাস রাখেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা দেবী করবেনই। পুরাণ মতে দেবী দুর্গা দানবদলন করেছিলেন। বর্তমান যুগে দেবী নিজে হাতে তা না করলেও সাধারণ মানুষের হাতে সে অধিকার তুলে দিলে তবেই তাঁর আগমনের, আরাধনার প্রকৃত সার্থকতা।"


নরনারায়ণ জাগ্রত আজ, নরপিশাচের পৈশাচিক উল্লাস মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। নরনারী নির্বিশেষে গলি থেকে রাজপথ, গ্রাম থেকে শহর, রাজ্য থেকে দেশ হয়ে বিদেশেও হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে সামিল। ধৈর্যের পরীক্ষায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

শারদ | অ্যাক্ট ফোর ১৮২৯ | অমিতাভ গুপ্ত

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

অমিতাভ গুপ্ত

অ্যাক্ট ফোর ১৮২৯


রামমোহন রায়ের ভাষাব্যবহারের মতো জটিল
নথিপত্র ছড়িয়ে আছে টেবিলে। ঝুঁকে, দেখছেন শ্রীযুক্ত বেন্টিঙ্ক

শারদ | কুমারী পূজা | জগন্নাথ মহারাজ

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ছোটগল্প/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ছোটগল্প

জগন্নাথ মহারাজ

কুমারী পূজা


"এটা শাস্ত্রসম্মতনা প্রাচীন প্রথাসেই সত্যতা নিয়ে তো ব্রাহ্মণ্যসমাজ কোনদিন সন্দেহ প্রকাশ বা বিরোধিতা করেনিবাহ্‌ পতিতালয়ের মাটিকে পবিত্র ভাবছআর পতিতার নিষ্পাপ মেয়েকে ঘৃণা! তাকে স্বীকার করতে এত কুণ্ঠিত কেন?"


বহু প্রাচীন মুখার্জী পরিবারের দূর্গা পূজা। মণ্ডপে শুদ্রদের প্রবেশের অধিকার নাই, তবে মন্দির প্রাঙ্গণের কিছুটা দূরে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে পূজা দেখতে তারা অভ্যস্ত।

শারদ | মানুষ | অজয় দেবনাথ

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

অজয় দেবনাথ

মানুষ




চোরাস্রোত ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র, আতঙ্কের চোরাস্রোত…
নিরাপত্তাহীনতা, রোজগার হারানো, অযোগ্যের হাতে সম্মান খোয়ানো
পাড়ায়-পাড়ায় শহরে-নগরে গ্রামে-গঞ্জে কোথাও নিস্তার নেই আর

শারদ | তিলোত্তমার প্রতি | জয়িতা বসাক

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতাণু/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতাণু

জয়িতা বসাক

তিলোত্তমার প্রতি


অপরাধ
 
সন্ধ্যা নামতেই একটা অপরাধ ট্রামলাইন পেরিয়ে
হেঁটে যায় মর্গের হিমশীতল কুঠুরির নীল উষ্ণতায়
গলিত রাত্রির দেহে লেখে ধর্ষণের ঘৃণ্য অধ্যায়

শারদ | প্রায়শ্চিত্ত | সঙ্ঘমিত্রা দাস

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ছোটগল্প/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ছোটগল্প

সঙ্ঘমিত্রা দাস

প্রায়শ্চিত্ত


"অন্তরার মনে হল ও যেমনভাবে সেদিন নিখিলকে রেখে গেছিল ও যেন সেখানেই স্হির হয়ে আছে। চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসতে চাইছে অন্তরার। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। ক্ষমা নয় প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে ওকে। এভাবে সব ভুলে থাকতে পারে না নিখিল। অন্তরাকে মনে করাতেই হবে ওকে। যে কোন মুল্যে।"


অন্তরা আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখটা মুছে নেয়। চোখ দুটো এখনো ফুলে আছে। কাল সারারাত ঘুমায়নি। নোটিশটা আসবে জানত, তবু কীসের যেন একটা অপেক্ষা ছিল। হয়তো-বা ভেবেছিল বাচ্চাটার কথা ভেবে অর্ণব বিয়েটা টিকিয়ে রাখবে। তিন মাস হয়ে গেছে বাড়ি ছেড়েছে। অর্ণব একবারও আসেনি, বাচ্চাকে দেখতেও না। তিতলি তো দুধের শিশু, ওর মুখটা দেখলেই মন ভরে যায় তার উপরও কোন টান নেই, ও যে অর্ণবেরই রক্ত, ওদের ভালবাসার উপহার।

শারদ | অজয় দেবনাথ ও সঙ্ঘমিত্রা দাস


বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | যুগলবন্দি | অজয় দেবনাথ ও সঙ্ঘমিত্রা দাস

সঙ্ঘমিত্রা দাস

প্রহর গুনছে মন


কতদিন দেখিনি তোমায় বলো
কতদিন তোমার চোখে চোখ রেখে
মিষ্টি সন্ধ্যা হয়নি যাপন।

শারদ | বোকা গাধার পিঠে আজও রক্ত জমে আছে | অলোক মিত্র

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

অলোক মিত্র

বোকা গাধার পিঠে আজও রক্ত জমে আছে


আমার জন্য আলাদা করে কোন বৃষ্টি হয় না 
অথচ কাক চিল শকুন, এরা সবাই বৃষ্টিকে
নিজের মনে করে ভেজে
ভিজতে ভিজতে গান হয়, কান্নার আলাপ
ঘোড়ার পায়ের খুড়ে জমে থাকা রক্তে
ক্রমশ শ্লথ হতে থাকে শব্দ বর্ণ অক্ষরের নির্মাণ 

শারদ | অভ্যেস | নীলাঞ্জনা মল্লিক

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ছোটগল্প/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ছোটগল্প

নীলাঞ্জনা মল্লিক

অভ্যেস


"সেদিনও খুব মিষ্টি সুরে কোকিল ডাকছিল। ব্রেকফাস্ট করতে করতে ঠোঁট থেকে আপনাআপনিই খসে পড়ে গেল ব্রাউন ব্রেডের টুকরো। চেয়ার উল্টিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বন্দনা। ওমা! মা কী হল তোমারপড়ে গেলে কী করেমাথা ঘুরে গেল নাকিচোখের সামনে তখন শুধুই ঝাপসা মেয়েজামাইনাতি... সকলেই খুব অস্পষ্ট।"


২১/এ, সূর্য সেন সরণি... একতলা ছিমছাম বাড়ি। বাইরের হলদে রংটার ওপর দীর্ঘ সময়ের পরত পড়েছে অনেকদিনই। সামনের বারান্দার চটা গ্রিল দেখে বোঝা যায়- ওটা কোনও এককালে মেরুন রঙের ছিল। তিন কামরার এই একতলা বাড়িজুড়েই বাহান্ন বছরের সুখ-দুঃখের পসরা।

শারদ | এই শরৎকালে কন্যাকে পিতা | উৎপলেন্দু দাস

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

উৎপলেন্দু দাস

এই শরৎকালে কন্যাকে পিতা


অবিশ্বাসী হওয়াই নিরাপদ আজকাল
ছদ্মবেশী বন্ধু থাকতে পারে আবার নাও পারে
কিন্তু শত্রু থাকবেই
এই জানাটা বেশি ধ্রুব জীবনে, বিশ্বাস ততটা নয়।

শারদ | ভরসাযোগ্য রাতের উদ্দেশ্যে | নীলম সামন্ত

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/গদ্য/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | গদ্য

নীলম সামন্ত

ভরসাযোগ্য রাতের উদ্দেশ্যে


"এত কাঠখড় পোড়াতে হবে নাতার চেয়ে আসুনআমার দোকানে আসুন। টুকরো টুকরো কাচ উপহার দেব। হাতে নিলেই টের পাবেনযে জন্তু ঘুমিয়ে আছে তার হাত পা কলিজা নড়েচড়ে উঠছেসে আকারে বড় হচ্ছে৷ না না  কোন টাকা দিতে হবে না৷ আজ দানধ্যানের রাত৷"


ফুল সরিয়ে মাংসের দোকান দিতে চেয়েছি৷ ধারালো ছুরি দিয়ে ঘষ ঘষ শব্দে কেটে দেব ভরসাযোগ্য আধুনিকতা। ওভারকোটে সামান্য রক্ত এসে পড়লেও কিচ্ছু যায় আসবে না৷ আমি জানি রাত্রি এখন অনেক গাঢ়৷ চাঁদ তারা কিছুই প্রায় দেখা যায় না। তাছাড়া

শারদ | দুঃস্বপ্ন | কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়

দুঃস্বপ্ন


সব যদি ভুলে যাওয়া যেত
এইসব ফুল পাখি শিশুদের কলরব
তাহলে মুক্তি পেত যন্ত্রণায়
দগ্ধ হওয়া চেতনার স্তর

শারদ | জলস্পর্শ বা মন খারাপের গল্প | মণিপদ্ম দত্ত

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/গদ্য/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | গদ্য

মণিপদ্ম দত্ত

জলস্পর্শ বা মন খারাপের গল্প


"কিন্তু আমি নিশ্চিত জানি আমার ভিতরটা প্রকাণ্ড বিস্ফরণে পুড়ে গিয়েছিল। বাবাতুমি এত দেরি করলে কেনকেন তোমায় ভুলে যাওয়ার আগে একবার ডাকলে নাআমার সে অচেনা বোন বোধহয় আবার কাঁদল। দু ফোঁটা জল আমার খোলা করতলে গড়িয়ে পড়ল।"


বাবা বলতেন, কখনো মন খারাপ লাগলে জলের কাছে যেও। যেতামও। বাড়ির পাশেই দিঘি ছিল। একটু দূরেই ডুরে পাড় নদী।  মন ভাল হতো জলের উপর ব্যাঙবাজি খেলে। ভাবতাম বাবা বোধহয় এটাই বলেছিল। আজ যখন বহুদিন পর সত্যি সত্যি নামতে হল নদীর ভিতর, জল ছুঁতে, তখন আমার হাতে বাবার নাভিকুন্ড। জল ছুঁতেই ভেসে গেলো দূরে। অনেকদিন পর মন ভালর মন্ত্রটাই ভেসে উঠল মস্তিষ্কের কোষে। মৃত পিতার নাভিকুন্ড নিয়ে তো আর ব্যাঙবাজি খেলা চলে না। বরং যতটুকু মন খারাপ ছিল, একটু গাঢ় হয়ে দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরোল। আসলে বাবা তো জানত না আমার আর মনখারাপই হয় না। ভুলে যাওয়া শৈশবের পর অনেক সেয়ানা হয়ে উঠেছি। বসে আছি সব মনখারাপেরই ঊর্ধ্বে। সত্যি বলতে কী, এই মুহূর্তেও আমার মন অন্য কোথাও আছে।

শারদ | পুজো এলেই... | গোবিন্দ মোদক

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

গোবিন্দ মোদক

পুজো এলেই...


পুজো এলেই            নতুন পোশাক
           নতুন সাজগোজ, 
দেদার খুশি             খাওয়া দাওয়া
           রোজই মহাভোজ!
শপিং করা             বেড়াতে যাওয়া
            কাছে কিংবা দূরে, 
ঠাকুর দেখা            সেলফি তোলা
            প্যাণ্ডেলেতে ঘুরে!

শারদ | মৃণাল ও একটি অনবহিত সিনে সংবাদ | শাশ্বত বোস

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ধারাবাহিক/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ধারাবাহিক গল্প

শাশ্বত বোস

মৃণাল ও একটি অনবহিত সিনে সংবাদ

[১ম পর্ব]


"এই এত বছরে শিয়ালদা ব্রিজের উপর দিয়ে চলাটিং টিং ঘন্টির ট্রামগাড়িটা চলে গেছে কয়েক লক্ষ বার ট্রামের ভেতর বসে থাকা মুখটা জানলা দিয়ে বেরিয়ে এসে বাজারটাকে দেখেছে কয়েক অর্বুদ মাইক্রো সেকেন্ড ধরেধুলোকাদা জড়ানো একটা হাওয়াকে বুকে আঁকড়ে রামনিধি আজ রাঁধুনি থেকে হোটেলের কত্তা হয়েছে।"



অঙ্কন- শাশ্বত বোস

খুব ভোরের জেদি একগুয়েঁ ধোঁয়া আর ছেঁড়া ছেঁড়া বাক্স পুঁটুলি থেকে ভেসে আসা ভ্যাপসা গন্ধের মিশেলে, ভিজে যাওয়া সংস্কৃতিশূন্য সকালটার একটা নিজস্ব গন্ধ আছে গরম ভাতের ফ্যান, ডাস্টবিনে ফুলে ওঠা মাছ কিংবা সারা রাত জেগে বাজারটার এক কোণায় পড়ে থাকা মুটে মজুরের গায়ের তেতো ঘামের গন্ধ, সব কিছু মিলে মিশে গিয়ে একটানা পচা একটা গন্ধ তৈরি হয় এই সকালটার গায়ে মশলা বাজারটা খুলতে এখনো দেরি আছে, এখন শুধু মাছের বাজারটা ঘিরে 

শারদ | মন ভাল নেই | তুষার ভট্টাচাৰ্য

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

তুষার ভট্টাচাৰ্য

মন ভাল নেই


মন ভাল নেই মন ভাল নেই 
সারা উঠোন জুড়ে ভোরের
পুবালি রৌদ্র ছায়ায়  

শারদ | ক্ষমা | সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ধারাবাহিক/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ধারাবাহিক গল্প

সীমা ব্যানার্জ্জী-রায়

 

ক্ষমা

[১ম পর্ব]


"আমি অশোকের পেছনে দাঁড়িয়ে। ওনারা আমাকে দেখতে পাননি। ওদের কালচারে অনেকদিন পর ছেলে এসেছে বলে ওকে বরণ করার সময় আমাকে দেখে ফেলে। ওনারা ভেবে নেন আমি অশোকের বিবাহিতা স্ত্রী। আমি সালোয়ার কামিজ পরে গেছিলাম। ওর মা-বাবাকে প্রণাম করতে গেলে ওনারা সরে যান।"


“RN নিকি প্যাটেল?” ওর অ্যাপ্রোন-এর ল্যাপেলে নেম ট্যাগ দেখে চমকে ওঠে অর্ক ব্যানার্জ্জী। আবার ভাল করে দেখে। না না ঠিকই দেখছে তো তাহলে...
ইয়েস নিকিতা প্যাটেল স্যরআমি আপনার মেয়ে টুম্পি ব্যানার্জ্জী-এর নার্স। কী করে এমন সিরিয়াস হল এইটুকু মেয়ে। ঠিক সময় না এলে কিন্তু একটা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত। আমি পারসোনালি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। খুব সুইট মেয়ে আপনার। মাত্র তো দেড় বছর বয়স, তাই না? তবে ডাক্তার বলেছেন, বাহাত্তর ঘণ্টা না কাটলে কিছুই বলতে পারবেন না। এভরিথিং উইল বি ফাইন, মিস্টার ব্যানার্জ্জী।

শারদ | পাখির ডিম | সুচরিতা চক্রবর্তী

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/ছোটগল্প/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | ছোটগল্প

সুচরিতা চক্রবর্তী

পাখির ডিম


"শাশুড়ির অসুস্থতা বেশ বাড়াবাড়ি অবস্থা। রোজ নার্সিংহোম আর ঘর করতে হচ্ছে। হঠাৎ মিলিদির নজরে এলো পাখি দুটো মুখে করে করে খাবার নিয়ে উড়ে গিয়ে বসছে লেবুগাছে। মিলিদির মনটা খুশিতে ভরে গেলো। দৌড়ে পেছনের দিকে গিয়ে শুনতে পেলো চিঁচিঁ ডাক। তিনটে ডিম ফুটেই পাখি হয়েছে।"


মিলিদি কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছে রান্নাঘরের জানলার পাশে কাগুজিলেবু গাছটায় একজোড়া টুনটুনি ওড়াউড়ি করছে। মিলিদি উঁকি দিয়ে দেখে পুরুষ টুনটুনিটা কী সুন্দর নীলচে কালো রঙের ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ করে উড়ছে এ ডাল-ও ডাল আর ধূসর মেয়ে পাখিটা একটু শান্ত ধরনের। মিলিদি ভাবল মোবাইলে ছবি তুলে রাখবে কিন্তু সেটা সেই শোবার ঘরে চার্জে বসানো, আনতে গেলে যদি উড়ে পালায় তাই মিলিদি চুপচাপ দেখছিল। প্রায়ই এখন পাখি দুটো কাগুজিলেবু গাছে আসে খেলা করে আবার পালায়। যতবার ভাবে ছবি তুলবে পাখি দুটোর ততবারই কিছু না কিছু কারণে ছবি তোলা হচ্ছে না। 

শারদ | আর কবে? | মধুপর্ণা বসু

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতা

মধুপর্ণা বসু

আর কবে?


শব্দেরা থমকে আছে অবসন্ন ঠোঁটের আগায়,
এক অসহ্য আত্মগ্লানি এযাবৎ সনাক্ত করছি।
সেখানে দুহাত দূরত্বে আমার অচৈতন্য মৃতদেহ
সারা শরীরে হাজার দগদগে আঘাত, কদাকার
আমি নিজের এমন এক মরণ কখনো ভাবিনি...

শারদ | কবিতাগুচ্ছ | কবি সলিল চৌধুরী | আমি কবি নই

বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতাগুচ্ছ/২য় বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/শারদ/১১ই আশ্বিন, ১৪৩১

শারদ | কবিতাগুচ্ছ

কবি সলিল চৌধুরী

আমি কবি নই


কবি কাকে বলে?
যারা কল্পনার জাল বুনে বুনে স্মরণের নদী থেকে উদ্ভট সব মাছ
রুই নয় কাতলা নয়
ইলিশ চিতল নয়
মাছ ধরে ধরে একুইরিয়ামে রেখে দেয়?
লাল মাছ নীল মাছ
নানান রঙের মাছ
লাল নীল বাতি জ্বেলে
লোককে দেখায়?

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)