প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Thursday, April 4, 2024

পূর্বরাগ | নাটক | ঝরা বকুলের ঘ্রাণ | অজয় দেবনাথ

বাতায়ন/পূর্বরাগ/নাটক/শিল্প-সংস্কৃতি/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | নাটক | শিল্প-সংস্কৃতি

অজয় দেবনাথ

ঝরা বকুলের ঘ্রাণ

[সত্যাশ্রয়ী ঘটনার ছায়ায়, কল্পনার রঙে রচিত এই নাটকের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল থাকলে তা নিতান্তই আকস্মিক ও অনিচ্ছাকৃত।]

[চরিত্র: বকুল, ক্যামেলিয়া, রাধা]

রাধা:            সুপ্রভাত বকুল-দা।

বকুল:           সুপ্রভাত সুপ্রভাত, বলুন রাধা, কেমন আছেন?

রাধা:            ভালো। আপনার গল্পটা পড়লাম। খুব ভালো লাগল।

বকুল:           কোন গল্পটা?

রাধা:            ওই যে ‘একটি প্রেমের গল্প’।

বকুল:           ওঃ ধন্যবাদ। ওসব অনেকদিনের কথা

রাধা:            আপনি এত ভালো গল্প লেখেন বলেননি তো আগে।

বকুল:           এতে বলবার কী আছে?

রাধা:            বা রে! এখন সবাই নিজের ঢাক নিজে পেটায়।

বকুল:           যে পেটায় পেটাক, আমার অত সময় নেই।

রাধা:            বাব্বা এত ব্যস্ত!

বকুল:           হুমম ব্যস্ততা আছে বইকি। কেন আপনি ব্যস্ত নন?

পূর্বরাগ | বসন্ত | সৈয়দ হাসমত জালাল

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

সৈয়দ হাসমত জালাল

বসন্ত

পূর্বরাগ | একটুকু ছোঁয়া লাগে | সঙ্ঘমিত্রা দাস

বাতায়ন/পূর্বরাগ/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | ছোটগল্প

সঙ্ঘমিত্রা দাস

একটুকু ছোঁয়া লাগে


অবশেষে সাত দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। চিঠি হাতে পেয়ে সঞ্জীব আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে পাওয়া এই ছুটি। কালই ট্রেন ধরবে। তৎকালে টিকিট বুক করে ক্যাম্পে ফিরেই ফোন লাগালো শ্রাবণীকে। তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী। যাকে বিয়ের পর দিনই বাড়িতে রেখে ডিউটি জয়েন করতে ফিরে আসতে হয়েছিল কাশ্মীরের কার্গিল সীমান্তে। ভিডিওকলে

পূর্বরাগ | অন্ধকারকে আলোপথ… | পিয়াংকী

বাতায়ন/পূর্বরাগ/হলদে খাম/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | হলদে খাম

পিয়াংকী

অন্ধকারকে আলোপথ…


হে অন্ধকারসাধক,

ঋগ্‌বেদে পালক উড়ে এসেছে। এখনই  সংরক্ষণ করুন। মাটিমাটি দারিদ্র্য আর নির্লিপ্ত চোখ, আশ্রয় উদাসীন থাকলেও নিভে যায়নি এখনও। কুলুঙ্গিতে তোলা আছে ভিতরের বিড়াল। নিষিদ্ধ চাউনি, বার্ধক্য পেরিয়ে খেজুরকাঁটা। আপনার নদী হবার পথে বাধা কি ওই পুংলিঙ্গ? ওহে আর্যপুত্র, আপনাকে দেবো এমন ধন এমন কোনো সম্পত্তি যে নেই আমার। বহুযুগ ধরে একটু একটু করে সঞ্চয় করেছি যত ঘাস, দিনান্তে সেই সবটুকুই পুঁতে দিয়েছি কৃষ্ণের শরীরে।

পূর্বরাগ | সে আসছে… | অজয় দেবনাথ

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

অজয় দেবনাথ

সে আসছে…


দেখিনি তাকে
শুনেছি কানে-কানে বাতাসের কাছে
 
সে আসছে…
তাই বাতাসও এলোমেলো, অবাধ্য
দিন-দিন অবাধ্যতা বেড়েই চলেছে
বুঝতে পারছি এবার আসবেই সে…

পূর্বরাগ | আদিম উল্লাসের কাগজ-কলম | নীলম সামন্ত

বাতায়ন/পূর্বরাগ/গদ্য/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | গদ্য

নীলম সামন্ত

আদিম উল্লাসের কাগজ-কলম


দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে

একটি শিশিরবিন্দু।


...কেন দেখনি শুনি? এই তো সেই মৃগনাভি যেখানে লুকিয়ে আছে সত্যযুগের শিকারি দাঁত। দগদগে লাল জিভ। লাল জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে পদ্মকুঁড়ি আর ধুতরার পাপড়ি। আর তুমি শিশির বিন্দুই দেখোনি? এত স্বচ্ছতার ভেতর নীলকণ্ঠ ব্যাকুলতা। ছবিতে ধরে রাখতে পারো তো। রোজ মাঝরাত হলে দেখবে মৃগনাভি থেকে কত পাখি ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে উড়ে যাচ্ছে আর অপরাজিতা পাপড়ি মেলে ডেকে নিচ্ছে নিবেদিত মৌমাছিকে৷ 

পূর্বরাগ | ঘিরে থাকো | রুবি রায়

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

রুবি রায়

ঘিরে থাকো


চারিদিকে ঠাকুমার গালের মতো কোঁচকানো পূর্বরাগ
আর তোমার ধ্রুব গমন দৃশ্য,
বইমেলার থেকেও বেশি ধাক্কা দেয়।

পূর্বরাগ | ছেচল্লিশ বছর পেরিয়ে এসে | ফটিক চৌধুরী

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

ফটিক চৌধুরী

ছেচল্লিশ বছর পেরিয়ে এসে


স্রোতের বিপরীতে হেঁটে চলেছি আমরা
প্রতিকূলতার জীবনে বয়ে যদি যায় যাক
                        একটু অনুকূলহাওয়া
এই বসন্তে যখন চারিদিকে
        বিপুল পলাশ শিমুলের আয়োজন!

পূর্বরাগ | আমার মন কেমন করে | চন্দ্রাবলী বন্দ্যোপাধ্যায়

বাতায়ন/পূর্বরাগ/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | ছোটগল্প

চন্দ্রাবলী বন্দ্যোপাধ্যায়

আমার মন কেমন করে


তুমি কখনও বলোনি আমায়—‘ভালবাসি’— কিন্তু অনেক অছিলায় ছুঁয়ে গেছ, মুখের কথায় কোনো প্রশ্রয় ছিল না, কিন্তু স্থির চোখের দৃষ্টি অনেক কিছু বলে যেত।

ভেতরে ভেতরে পাগল ছিলাম আমি। কতবার বলতে গেছি — ভালবাসি। কিন্তু

পূর্বরাগ | পূর্বরাগ | সৃশর্মিষ্ঠা

বাতায়ন/পূর্বরাগ/গদ্য/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | গদ্য

সৃশর্মিষ্ঠা

পূর্বরাগ


আঁধারের অজান্তে থেমেছে বেহালার স্বর। ইতস্তত শুদ্ধ ও বিদ্ধ বীর্যে নিস্পন্দ ও অসাড় পৃথিবী। তার সাধন প্রায় সমাপ্ত। দেহ আর প্রাণ এখনও চেতনালুপ্ত। সময় তাদের ছুটিয়েছে অমৃতের সন্ধানে। আকুল অন্তর। অবিশ্রাম এষণা। এই তপস্যা অযৌক্তিক নয়। সকল অনভিপ্রেত দ্বন্দ্বসমাধান। জড় ও অজড় অভিন্ন। কাঠ ও কাঠুরের জীবন মিলনগ্রস্ত। ছায়ার উচ্চারণে বিপরীতের বরণ। ভূমিকার ডালায় সন্মার্গ আয়োজন। দৃশ্যে বামপন্থীময় উৎসর্গীকরণ। 

পূর্বরাগ | পূর্বাপর | মধুপর্ণা বসু

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

মধুপর্ণা বসু

পূর্বাপর


তোমাকে নতুন করে আবিষ্কার করার নেশায়
একান্ত মধ্য দিনে নিজেকে অপরাধী করে উন্মুক্ত করেছি নিরন্ন ভুখা তৃষ্ণার দুচোখ।
উঁচু পাহাড়ের মতো কঠিন অহমে অসহায়
চিরকাল নাবাল দূরত্বে চাঁদের কণা ছুঁয়েছি...

পূর্বরাগ | চোখ বন্ধ সব অন্ধ


 বাতায়ন/পূর্বরাগ/সম্পাদকীয়/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

 পূর্বরাগ | সম্পাদকীয়

 
চোখ বন্ধ সব অন্ধ

চোখ বন্ধ থাকলে দৃষ্টিগ্রাহ্য যে-কোনো কিছুই দেখা যায় না, কিন্তু তখনই মনের চোখ খুলে যায়। খুলে যায় কল্পনার ডানা। তখন মানুষ যা দেখতে চায় দেখতে পায়। আর সেখান থেকেই পূর্বরাগের শুরু। সে রাধাই হোন আর আজকের ইন্টারনেট-যুগের মানবমানবীই হোন।

পূর্বরাগ | সুন্দর দৃশ্যগুলি | দেবযানী মহাপাত্র

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

দেবযানী মহাপাত্র

সুন্দর দৃশ্যগুলি


প্রতিটি সুন্দর দৃশ্যের ভেতর
ঘোরলাগা আমি ঢুকে পড়ছি
দেখছি
শুকনো গাছের গায়ে
সদ্য ঘুম ভেঙে জেগে উঠছে
অজস্র ছোট ছোট পাতা
পাতার গোপনে ফুল।
তারও গভীরে হাওয়া
বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে
পরাগ ও পাপড়ির সহাবস্থান

পূর্বরাগ | শূন্যতায় হারানো দিন | জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

শূন্যতায় হারানো দিন


অনিবার্য গভীর সন্তাপে বেজে ওঠে প্রিয় নাম
মুমূর্ষু নদীর নিঃশ্বাসে তখন মহাশূন্য স্রোত,
মোচড় দিয়ে ওঠে হৃদয় ও শরীরের ভাষা
বেদনা সম্মত রক্তবিন্দুটা ক্রমশ বৃত্ত হয়
অভিকর্ষ টানে আসে জ্বালাময় উড়ান
পরিধি বাড়ে দিগন্তের উদ্দেশ্যে
কে যেন বলে ওঠে পোড়ো পোড়ো
শেষ বারের মতো...

পূর্বরাগ | ইহাকে কি পূর্বরাগ বলে? | বিজয় শীল

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

বিজয় শীল

ইহাকে কি পূর্বরাগ বলে?


তোর কথা শুনলে কেন যে সুখ মনচঞ্চল করা!
তোর খিলখিল হাসি, সন্ধ্যা-তন্দ্রালু বা লতা-কমনীয় কন্ঠজাদু কানের ভিতর দিয়ে মরমে পশিলে মন-আকাশে স্বপ্নের সাঁঝতারা!
তোর অসুখ

পূর্বরাগ | পূর্ব গগন ভরে | শম্পা সামন্ত

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

শম্পা সামন্ত

পূর্ব গগন ভরে

পুব হাওয়াতে দোলা লাগে। এত যে আলোর সকাল।
এত যে উপুর করা আনন্দ, এর মধ্যে একটি সকরুণ ঢেউ আছে উচ্ছ্বাস আছে। আর হৃদয়ের অলিন্দে, নিলয়ে এই আনন্দঘন ঢেউ সঞ্চিত রাখছি হীরকখচিত কৌটোর মধ্যে। যেখানে আমার প্রাণ ভ্রমর অতি যত্নে রাখা আছে। কে ডাকে! কার মুখ মনে পরে বারংবার! কার নাম জপমালা হয়ে উদ্‌বেল করে সকাল! কার!
সকলেই ভাবতে পারে এই অনুভবের এমনকি আছে? কিন্তু সময়ানুযোগী আনন্দ দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার মতো দক্ষতা আছে।

পূর্বরাগ | পূর্বরাগ | উদয় মণ্ডল

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

উদয় মণ্ডল

পূর্বরাগ


তারপর কতদিন চলে গেল...
ফাগুন এলো চুপিচুপি!

পূর্বরাগ | কিশোরী মুখের জাদু | দেবকুমার মুখোপাধ্যায়

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

দেবকুমার মুখোপাধ্যায়

কিশোরী মুখের জাদু


কোথাও না কোথাও দেখা হয়;
একান্তে নতজানু,
সাক্ষাতে উদ্ধত শির নির্বাক, তন্ময়।

পূর্বরাগ | অচেনা পুকুরপাড়ে | কৌশিক চক্রবর্ত্তী

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

কৌশিক চক্রবর্ত্তী

অচেনা পুকুরপাড়ে


স্বরলিপিটুকু তুলেছ যখন, হাতে পাতা ছিল নিশি
কাজল দিঘির ঈশান কোণটা আজও খুঁজে নেওয়া দায়
স্মরণে আসে না পাড়ে বসে শেষ কবে কার সাথে মিশি
তুমি চেয়েছিলে অচেনা পাঁজর, আঘাতের পন্থায়।

পূর্বরাগ | অন্য পৃথিবী | তীর্থঙ্কর সুমিত

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

তীর্থঙ্কর সুমিত

অন্য পৃথিবী

আকাশ রঙে যে মেঘের ছবি দেখেছি
আজ তা অতীত
সময়ের ক্যানভাসে এখন সব রঙই কালো
নীল, সবুজ অথবা লালের পরিবর্তন
ঘটবে এটাই ধ্রুব সত্য
যেমনভাবে তোমার হাত এখন বদলে
মায়া জড়ানো চাদর হয়েছে...
আর নিঃশ্বাসের সরলতা

পূর্বরাগ | পূর্বরাগ | দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়

পূর্বরাগ


নতুন ছোঁয়ায় তার মন উড়ু-উড়ু
চোখেতে বিস্ময় ভার মেঘ গুড়ুগুড়ু
সারারাত চ্যাট করে ভোরে ঘুম আসে,
নতুন সূর্যের আলো হাসিমুখে ভাসে
সারাদিন মন ছেয়ে এক ছায়া পড়ে।
সব কাজে ভুল হয় রাগ তার চড়ে।

পূর্বরাগ | বিস্মৃত-প্রেম | শংকর ব্রহ্ম

বাতায়ন/পূর্বরাগ/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | ছোটগল্প

শংকর ব্রহ্ম

বিস্মৃত-প্রেম

 

                            এক

বাজারের এদিকটায় মাতালদের ভিড় বেশি। মদের দোকান আছে একটি। আজ ছুটির দিন নয় তবুও মত্ত মানুষদের ভিড় লেগেই আছে। এদের গায়ের ছোঁয়া লাগতেই আরও রাগ বাড়ছে সমীরের। সবকিছুই ঘৃণা করে সে। ঘৃণা চেপে রাখতে পারে না। মুখে ফুটে ওঠে তা। মুখ বেঁকে যায় তার। কয়েকদিন ধরে কবিতা না লিখতে পারলে, এমন দশা হয় তার। কিছুই ভাল লাগে না। ঘরেও মন টেকে না। বাইরে বেরিয়ে এসে অস্থির ভাবে হাঁটা শুরু করে। কোথায় যাবে, কেন যাবে? তা সে কিছুই জানে না। যে দিকে দু'চোখ যায়, যে দিকে যেতে মন চায়, সেদিকেই হাঁটতে থাকে। মনে মনে নিজের প্রতি তার একটা উদগ্র রাগ থাকে, যা ঘৃণায় পরিণত হয়। সেটা আসলে না লিখতে পারার রাগ তার কষ্টে রূপান্তরিত হয়। আর তারই প্রতিফলন ঘটে উল্টো ভাবে তার মনে। সমাজের সব কিছুর প্রতি তার ঘৃণার ভাব জেগে ওঠে মনে।

পূর্বরাগ | বসন্তের তীরে | দীপক বেরা

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

দীপক বেরা

বসন্তের তীরে


উত্থিত যৌবনের সাথে দেখা হয়
প্রতিটি বসন্তের তীরে—

পূর্বরাগ | পূর্বরাগ | সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য চৌধুরী

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য চৌধুরী

পূর্বরাগ


তোমার সাথে প্রথম দেখার আগে—
তোমার ছবি এঁকেছিলাম মনে,
বসন্ত তার ভালবাসার ফাগে—
পলাশ যেমন ফুটিয়েছিল বনে। 

পূর্বরাগ | কথারা এখনো অস্পষ্ট | কেতকী বসু

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

কেতকী বসু

কথারা এখনো অস্পষ্ট


সীমাহীন স্তব্ধতায় ঢেকে ফেলা অলক্ষ্যের রাজধানী
চুপিসাড়ে রাত আসে বিভীষিকা অন্ধকারে,
কিছু পলাতকা অনুভূতি রং নেয় আদরে ও সোহাগে।
চুপ থাকা উলঙ্গ শরীরের ভূমিহীন রাজার পরিচয়ে।

পূর্বরাগ | ছাড়তে দিলো না | পিয়ালী সেন

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা
পিয়ালী সেন

ছাড়তে দিলো না


বইয়ের মধ্যে লাল গোলাপের পাপড়িগুলো শুকনো হোলো
শুকনো হোলো তবুও কেন পৃষ্ঠাগুলো ওলট-পালট?
বুকের মধ্যে মেঘ জমলে খুব গভীরে ঝড় ওঠে ঠিক
কেমন করে অনুভূতির আজও এমন নিপুণ বুনোট…!

পূর্বরাগ | অবেলায় বাঁশি | মহুয়া গাঙ্গুলী

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

মহুয়া গাঙ্গুলী

অবেলায় বাঁশি


বেলা তখন‌ পড়ে আসে দেখি, ছায়াঘেরা বুনোফুলের ঝোপে…
এক অজানা সংবাদে পাতাবাহারের সাজ;
হাওয়ায় ভাসা বসন্ত আঠেরো একুশের ভেলায়, ফাগের আগুন আগলিয়ে বেলাশেষের গোধূলি আলো,
নিভিয়ে ফেলে জমতে থাকা আগুন!
পোড়া হৃদয়, গন্ধ বড়ই উগ্র;
ফাগের আগুন মিলিয়ে দূরের ফানুস,
দগ্ধ জীবন বেহিসাবি হয়ে কষে

পূর্বরাগ | পূর্বরাগ | উৎপলেন্দু দাস

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

উৎপলেন্দু দাস

পূর্বরাগ


শুধুই অনাবৃত আলোর বিচ্ছুরণ
অসহ্য আঁধারের নিস্তব্ধ প্রতিবেদন
নিতান্তই স্বাদ গন্ধ বিহীন প্রেম
যান্ত্রিক মিলনে বয়ে আনে না রস মাধুর্য
যদিও বা জাগে শরীর জাগে না নিদ্রাতুর মন।

পূর্বরাগ | তৃষ্ণা | জয়িতা ঘোষ হালদার

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

জয়িতা ঘোষ হালদার

তৃষ্ণা


নোঙর ফেলব, ঘাটের তৃষায় চলেছি
সপ্তপর্ণীর সুগন্ধ আজও আকুল করে ডাকে।
তুমুল ঢেউ উথালপাতাল করছে

সুনন্দিনী শুক্লা | বিস্মৃতবীর

বাতায়ন/ধারাবাহিক/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

ধারাবাহিক গল্প

সুনন্দিনী শুক্লা

বিস্মৃতবীর

[২য় পর্ব]

পূর্বানুবৃত্তি অর্ধেন্দু তমলুকে তার এক কালের জমিদার বাড়িতে ছুটি কাটানোর জন্য মনোজিৎ আর স্বর্ণেন্দুকে নিয়ে এসেছে। ওরা প্রেসিডেন্সির ছাত্র। শিকার করার জন্য ওরা তৈরি হয়েই এসেছে, সঙ্গে এয়ারগানও আছে। কিন্তু কোথায় কী! বিকেলে চা খেতে একটা গুমটি চায়ের দোকানে গেল। এক বৃদ্ধ দোকানি ওদের বসতে বলে চায়ের তোড়জোড় করছেন এবং ওদের কথা শুনছেন। কথায় কথায় প্রকাশ পেল ওই দোকানি স্বাধীনতা সংগ্রামী। তারপর…

- আপনি কি ব্রিটিশ পুলিশ বা আর্মিতে ছিলেন?
- আর্মিতেই। তবে ব্রিটিশ আর্মি নয়, ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা।

পূর্বরাগ | সবুজ ঠিকানা | জয়িতা বসাক

বাতায়ন/পূর্বরাগ/কবিতা/১ম বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৩শে চৈত্র, ১৪৩০

পূর্বরাগ | কবিতা

জয়িতা বসাক

সবুজ ঠিকানা


গোলাপি রঙের সেই ডাকটিকিটের পাশে
লিখেছিলাম তোমার সবুজ ঠিকানা
দমবন্ধ শহুরে চিঠিতে যেভাবে লেখা থাকে
অরণ্য আর প্রজাপতির গোপন আলাপন

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)