প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

ডিভোর্স | স্বপ্ন ও বাস্তব

বাতায়ন/ডিভোর্স/ সম্পাদকীয় /৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ , ১৪৩২ ডিভোর্স | সম্পাদকীয় "কম্প্রোমাইজ করে কোনক্রমে কাটত সুখের খোলসের আড়ালে অত...

Saturday, July 26, 2025

প্রাত্যহিক চিরকুট | প্রতীতি সরকার

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
প্রতীতি সরকার
 
প্রাত্যহিক চিরকুট
 

লিভিং রুমের শেলফে গোছানো বইয়ের তাকে
আমার রোজনামচার ধূলো-
পুরোনো খামতির লিস্ট লুকোনো
পরিপাটি সাজানো ফুলদানির জলে নুন মেশানো
টেবিলের কফির কাপে আজকাল তিতকুটে স্বাদ
জানালা খুললেই উত্তরের হওয়ার সাথে
ঘরে ঢুকে পড়ে উদ্ভ্রান্ত বিষাদ
আমার প্রাত্যহিক জীবনে কপাল জুড়ে ভাঁজ!

সুখের একাকিত্ব | কেয়া নন্দী

বাতায়ন/ডিভোর্স/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | গল্পাণু
কেয়া নন্দী
 
সুখের একাকিত্ব

"আর বরাবরই কেতকী খোঁজে অনুরাগের শিসধ্বনি। তাই নিঃসাড়ে কেতকী কবে যেন সংসারের মধ্যে থেকেও হয়ে গেছে এক একক মানবী যে নিজের সঙ্গে মনের কথা কয়নিজেকে ভালবেসে একলা ঘরে সুখে দিনযাপন করে।"


কেতকীর কণ্ঠে হীরকদ্যুতি ছড়িয়ে ধুমধাম করে অর্জুন 'রজতজয়ন্তী' পালন করলেও অন্তরে কেতকী বহুদিন 'একা'। অলিখিত এই বিচ্ছেদের কথা টেরও পায় না অর্জুন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তির কারণে নয়, সূক্ষ্ম অনুভূতির অভাবে সম্পর্কটা একদিন নিষ্প্রাণ ঠেকে কেতকীর।

সঁপে দিয়েছি অনন্তের হাতে... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
রতনলাল আচার্য্য
 
সঁপে দিয়েছি অনন্তের হাতে...
 

বিদায়ী সূর্যটা ডুবতে ডুবতে
কী যেন বলে গেলো
শোনা হলো না।

ভাঙন | সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য চৌধুরী

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য চৌধুরী
 
ভাঙন
 

আলগা হলে সুতো
বাঁধন খুলে আসে
হাসতে থাকা জীবনটা আজ
চোখের জলে ভাসে।

দেখা | তূয়া নূর

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
তূয়া নূর

দেখা

কাছাকাছি এসেছিল একদিন দুটো অচেনা গ্রহ
মহাশূন্যের হিসাব না রাখা
কোন এক ক্ষণে নভোপথে
দেখা হয়েছিল প্রথম যেখানে, আবার
সেখানেই দেখা অযুত বছর পর
অদূরে দাড়িয়ে কেউ যেন খেলে এ খেলা!

মুনিয়াকে চিরসখা | অজয় দেবনাথ ও সুচরিতা চক্রবর্তী


 

বাতায়ন/ডিভোর্স/যুগলবন্দি/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | যুগলবন্দি | অজয় দেবনাথ ও সুচরিতা চক্রবর্তী
অজয় দেবনাথ
 
মুনিয়াকে চিরসখা

"সুখে থাকার নমুনা তুমি অনেকদিন আগেই দিয়েছ, যেদিন তোমাকে আবার ছিঁড়েখুঁড়ে রক্তাক্ত করতে বলেছিলে। আদর্শ দম্পতি বটে! এই জন্যে তুমি প্রতীক্ষার সহ্যসীমা লঙ্ঘন করলে, শুধু এই জন্যে! হায় রে, সাগরেও জলের আকাল!"


"হ্যাঁ চলে যেতেই পারি তবে আমি কি সেই বিজিতকে পাবো যাকে ফেলে এসেছিলাম। তা হয়তো পাবো কিন্তু তুমি কী সেই পর্ণাকে পাবেসেই চঞ্চল টকেটিভ তন্বী পর্ণা। না পাবে না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।"


মুনিয়া,
 

আচ্ছা, মুনিয়া পাখিকে কখনও পোষ মানাতে দেখেছ? বোধহয় কেউ পারেনি। দানা ছড়িয়ে রাখো, উড়ে আসবে, দানা খাবে আবার উড়ে চলে যাবে। এটাই পাখির ধর্ম। তার জন্য আছে মস্ত আকাশ— ক্ষুদ্র, তুচ্ছ দাঁড়ের পরোয়া করতে তার বয়েই গেছে। নইলে তোমার মেয়ের নাম বর্না রেখেই মহান ব্রতপালন করতে না! এ যেন কোমায় বাঁচিয়ে রাখা, অনেকটা জিন্দা লাশ।

বৃষ্টি ভেজা ভোর | সঙ্ঘমিত্রা দাস

বাতায়ন/ডিভোর্স/ভ্রমণ/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | ভ্রমণ
সঙ্ঘমিত্রা দাস
 
বৃষ্টি ভেজা ভোর

"পা ধুয়ে যাচ্ছে ঝরনার মতো বয়ে যাওয়া জলে। খুব ভাল লাগছে আমার। পাহাড়ি হাওয়ায় চোখ বুজে আসছে। সজীব সতেজ ঠান্ডা হাওয়া। দু ধারে সবুজ যেন আরো গাঢ় রং নিয়েছে। দূরে যতদূরে চোখ যাচ্ছে লম্বা পাইনের গাছগুলো প্রাণভরে বৃষ্টিতে ভিজছে।"


জুন মাসের মাঝামাঝি সময়টা, হঠাৎ অফিসের কাজে কার্শিয়াং যাবার প্রয়োজন হয়ে পড়ল কর্তামশাইয়ের। আমিও সঙ্গে যাবার বায়না ধরলাম। দার্জিলিং আমার ভীষণ প্রিয় শৈল শহরের মধ্যে একটা। এর আগে দীর্ঘ কয়েকবছর শিলিগুড়ি পোষ্টিং থাকায় প্রায়ই ছুটি কাটাতে চলে যেতাম। পাহাড়ি রাস্তায় কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার যে অনুভূতি সেটা আবার একবার ফিরে পাবার ইচ্ছে জেগে উঠল। 

কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | আমার নীরবতা আমার ভাষা


 

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | আমার নীরবতা আমার ভাষা
কবি-পরিচিতিসহ
কবিতাগুচ্ছ
অমিতাভ দাশগুপ্ত

"দেশ" পত্রিকায় তাঁর কবিতা সর্বপ্রথম ছাপা হয়। তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর শেষ উপন্যাস "হলুদ নদী সবুজ বন" লিখতে সাহায্য করেছিলেন। এই সমযে মানিকবাবুর শারীরিক অবস্থা এমন ছিল যে তিনি নিজে লিখতে পারছিলেন না।"



আমার নীরবতা আমার ভাষা
 

আমার হাতে কোনও শাবল ছিল না,
বাটালিও নয়,
তবু, এতদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা দুর্গ
এক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল।

বিচ্ছেদের বিদগ্ধ যন্ত্রণা | প্রাণেশ পাল

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
প্রাণেশ পাল
 
বিচ্ছেদের বিদগ্ধ যন্ত্রণা
 

অমীমাংসিত সময়ের ব্যবধানে বয়ে যায়
আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভালবাসা,
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভালবাসার স্মৃতিচিহ্ন
মুছে যায় নিশিরাতে, বেহাগ বিন্যাসে!

অপরিণামদর্শিতা | দীপ্তি নন্দন

বাতায়ন/ডিভোর্স/ছোটগল্প/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | ছোটগল্প
দীপ্তি নন্দন
 
অপরিণামদর্শিতা

"বলাকার জন্মের সম্ভাবনা টের পাওয়ার পর থেকেই এই অশান্তির সূত্রপাত। সুমিতা এখনই সন্তান নিয়ে সংসারের ঝামেলা ঘাড়ে নিতে তৈরি ছিল না মোটেই। সে চেয়েছিল তার সংগীতসাধনাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে।"


ছোট্ট বলাকা সুরঞ্জনের হাত ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। তার কচি হাত দুটি একটু দূরে গম্ভীর মুখে দাঁড়ানো সুমিতার দিকে বাড়িয়ে। কচি গালের উপর দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে চলেছে। কান্নার দমকে ছোট্ট শরীরটা ফুলে ফুলে উঠছে। মুখে তার আধো আধো 'মা, মা' ধ্বনি!

হারকিউলিস | গৌতম কুমার গুপ্ত

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
গৌতম কুমার গুপ্ত
 
হারকিউলিস
 

চাঁদ ঘুম ঘুম
হেলে পড়েছে নার্ভতন্ত্র
পড়ুক
মাসকুলার রেশিও ঢিলে মারছে    
মারুক
উড়ে যাচ্ছে উইংস ফেনসিংয়ের বাইরে
                           উড়ে যাক

উত্তরণ | অর্পিতা দাস

বাতায়ন/ডিভোর্স/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | গল্পাণু
অর্পিতা দাস
 
উত্তরণ

"সিগারেটের নেশা অবন্তিকাই ধরিয়ে ছিল, সিগারেটের গন্ধ নাকি ভাল লাগে ওর। অন্ধকারে সমস্ত পথ মিলিয়ে যাচ্ছেপ্রিয়ম তাগিদ অনুভব করে ঘরে ফেরার..."


সন্ধে হয়ে আসে, দোকানপাটগুলোতে তখনও আলো জ্বলেনি। প্রিয়ম কলেজহল্টের পথে হনহন করে ছুটে চলেছে। আলো-আঁধারেও চোখে পড়ল অবন্তিকাকে, আরেকবার ঘুরে দেখল। ঠিকই দেখেছে সে, কিন্তু কই অবন্তিকা তো ফিরে তাকাল না। 

নষ্ট স্মৃতি | সৌরভ ঘোষ

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
সৌরভ ঘোষ
 
নষ্ট স্মৃতি
 
এই লালচে তরল আমার সুখ ভিখারি স্মৃতি।

আকাঙ্খা ভরা কাচের গ্লাস, তার গায়ে
বাদল মেঘের মতো ভেসে আছে
তোমার ঠোঁটের অস্থিরতা
তাতে ইতস্তত চুমু…

ডিভোর্স | স্বপ্ন ও বাস্তব


বাতায়ন/ডিভোর্স/সম্পাদকীয়/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | সম্পাদকীয়

"কম্প্রোমাইজ করে কোনক্রমে কাটত সুখের খোলসের আড়ালে অতৃপ্ত জীবন। অতীতে প্রতিবন্ধকতা ছিল অনেক— মেয়েদের অর্থনৈতিক পরনির্ভরশীলতা, লোকলজ্জার ভয়, কূপমন্ডূকতা। একান্নবর্তী পরিবার বা ছোট পরিবারের ভূমিকা এখানে গৌণ।"



স্বপ্ন ও বাস্তব
 

আবাল্যের বুনে তোলা স্বপ্ন জীবনের পথে পদে পদে ধাক্কা খায়, এটাই স্বাভাবিক। সেই স্বপ্নে নির্মিত ধারণা যে কোন রকম হতে পারে— বাহ্যিক রূপ বা সৌন্দর্য, সামাজিক অবস্থান, দৈহিক চাহিদা, মনের মিলন ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে চলার পথে এই ধারণার প্রায় কোনটাই মেলে না।

শেষ খেলা | বর্ণালী দে

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
বর্ণালী দে
 
শেষ খেলা
 

অন্ধকারের তালাটি খুলতে
অনেক সময় লেগে গেল।
জ্যোৎস্নায় ভিজে থাকা চাবিটিতে
মরচে পড়েছে বহুকাল আগেই।

ওগো শুনছো | বন্দনা সেনগুপ্ত

বাতায়ন/ডিভোর্স/হলদে খাম/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | হলদে খাম
বন্দনা সেনগুপ্ত
 
ওগো শুনছো

"এই মেল শভিনিষ্টিক সমাজে যাতে আমার অপমান হয়সেই জন্যএকটা মেয়ে যখন তার বরকে রিজেক্ট করে বাতিল করে দেয়তখন সমাজে তার কী অবস্থা হয়তার কি কোন ধারণা আছে তোমার?"



ওগো শুনছো!
 

ভাল আছ তো? তোমার মনে আছে তো আমাকে? নাকি জীবন থেকে বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন থেকেও মুছে ফেলেছ?
কত দশক হয়ে গেল “ওগো শুনছো” বলে ডাকিনি। “কোথায় গেলে গো” বলে হাঁক দিইনি! অথচ, বেঁচে আছি। কী আশ্চর্য, তাই না!

দূরত্ববিধি মেনে | মলয় সি চন্দ্র

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
মলয় সি চন্দ্র
 
দূরত্ববিধি মেনে
 

বায়োলজি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে যেদিন ক্লোরোফর্ম
দিয়ে ব্যাঙটাকে অজ্ঞান করেছিলাম
স্যার বলেছিলেন, কাজটা করবি দূরত্ববিধি মেনে।

বিবাহবিচ্ছেদ ও অন্যান্য | সুশান্ত সেন

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতাণু/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতাণু
সুশান্ত সেন
 
বিবাহবিচ্ছেদ ও অন্যান্য
 
বিবাহবিচ্ছেদ
 

বিবাহবিচ্ছেদ কথাটি অল্প চালু
ভিভোর্স এই বেশি পছন্দ।
বিবাহবিচ্ছেদে একটু জোড়া লাগা জোড়া লাগা ভাব
ডিভোর্সে দাড়ি সমাপ্তি।
শিশির উপে তপ্ত তপনে ম্রিয়মাণ পাতা।

ডিভোর্সের ফল | সমর আচার্য্য

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
সমর আচার্য্য
 
ডিভোর্সের ফল
 

মোবাইলে প্রেম করে সব নিচ্ছে করে বিয়ে
দুদিন পরেই ঝগড়া করে যাচ্ছে ছেড়ে দিয়ে,
আধুনিক প্রেম যেন চীন দেশেতে তৈরি
দুদিন পরেই ভালবাসা যাচ্ছে হয়ে বৈরী।

কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | ভুল হয়েছিল?

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | ভুল হয়েছিল?
অমিতাভ দাশগুপ্ত
 
ভুল হয়েছিল?
 

'যাই' বলতে নেই। বলো... 'আসি'। তাছাড়া আমি কি আর তেমন সন্ন্যাসী?
কিছুদিন ঘুরবো-ফিরবো
তারপর ফিরে আসবো ঘরে,
নির্বাসন মেনে নিয়ে
যাবো না যাবো না দ্বীপান্তরে।

স্ক্রু | পুষ্প সাঁতরা

বাতায়ন/ডিভোর্স/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | গল্পাণু
পুষ্প সাঁতরা
 
স্ক্রু

"স্ক্রু— মাকে জড়িয়ে ধরে বলে 'বাবা ছাড়া আমি থাকতে পারব নাচিত্রার মুখে মেঘভাঙা রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়ে।"


মন দু ভাগ হলে চেরা সিঁথিতে আর সূর্য ওঠে না। সিঁদুরেরর সঙ্গে অভিমান করে চিত্রা। ইগোর লড়াই, ফিটি-ফিটি! ফাটলের মাঝে আড় হয় স্ক্রু, কিছুতেই জোড় খুলতে সায় দেয় না। জীবনটা কি ছেলেখেলা নাকি

ঝাপসা কাচের বিস্ময় | সুকান্ত মণ্ডল

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
সুকান্ত মণ্ডল
 
ঝাপসা কাচের বিস্ময়
 

অন্ধকারও স্তব্ধ হয়ে যায়
একটি রেখা ভাগ হয়ে
দু দিকে পতনোন্মুখ...

নিভৃত | প্রবীর বন্দোপাধ্যায়

বাতায়ন/ডিভোর্স/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | গল্পাণু
প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
 
নিভৃত

"আমি হতবাক! যার সাথে কোনদিনই কথা হয়নি চোখাচোখি হওয়া ছাড়া তাঁর মুখে এমন কথা! বললামকেন?"

আজ আমার সহযাত্রী বা ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা কেউ আসেনি। মনে হয় রাজ্য সরকারের ছুটি। ট্রেনে বসা প্রায় ভুলে গেছি। তাই ভাবলাম আজ একটু চোখ বুজে ট্রেন যাত্রা উপভোগ করি।

হলো না চাতকের সমুদ্রস্নান... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
রতনলাল আচার্য্য
 
হলো না চাতকের সমুদ্রস্নান...
 

জলের তৃষ্ণা মেটাব বলে
মৃগনাভি হাতে ছুটে চলেছি দিগ্‌বিদিক।
মাথার উপর চক্কর খেয়েছে প্রেমাংশু মেঘ
জমকালো করে দিয়ে হৃদয় চত্বর।

ধুলোয় মিশে থাকা চরিত্র | হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
 
ধুলোয় মিশে থাকা চরিত্র
 

মোহ শব্দটির কথা মনে এলে আমি তার ভেতর দিয়ে
অনুপুঙ্খ উৎসর্গ দেখতে পাই
অথচ উৎসর্গ কথাটির একদিকে ভালবাসা

আবাদ করলে ফলত সোনা... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
রতনলাল আচার্য্য
 
আবাদ করলে ফলত সোনা...
 

জানা-অজানার যুগপৎ লড়াই চলছে, চলুক। সময় তো থেমে নেই একেবারেই। কালের চিত্রপটে ইতিহাস হয় না অনেক কিছুই। অসার জীবনের সার খুঁজতে যাঁরা করেছেন জীবন প্রণিপাত তাঁরা মহান। সময়ের চোরাবালিতে হারিয়ে যায় না তাঁদের চিরাচরিত কারুকাজ। আবার যাযাবররাও হারিয়ে যায় একেবারেই, সেটাই বলি কী করে?

হেই সামালো | সুশান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

বাতায়ন/ডিভোর্স/ছোটগল্প/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | ছোটগল্প
সুশান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
 
হেই সামালো

"মহিলা নিশ্চই ওপার থেকে গঙ্গায় ঝাপ দিয়েছিল। মাউথ টু মাউথ রেসপিরেসনে কোনো কাজ না হওয়ায় মহিলাকে উল্টো করে শুইয়ে পিঠের দু দিকে চাপ দিতেই মুখ থেকে গল গল করে জল বেরিয়ে আসে।"


নদীর এপাশে এই সময় কেউ আসে না। এখন রাত সাড়ে দশটা। বাস্তবের রাতে বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করে না। গত তিন মাস আগে ঠিক এই সময়েই স্বেতা চলে গিয়েছিল। দু-চারটে কথা কাটাকাটি কোন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয় না। তার জন্য গলায় দড়ি দিতে হবে? তারপর পুলিশের হাঙ্গামা কম হয়নি। নদীর ঠিক ওপাশেই নীল মাধবের ঘাট। ওখানেই স্বেতাকে দাহ করা হয়। বাস্তব জন্মান্তরবাদ মানে না। তবুও রাতে ঘুম না এলে এখানে এসে বসে।

বিচ্ছেদ | সঙ্ঘমিত্রা দাস

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
সঙ্ঘমিত্রা দাস
 
বিচ্ছেদ
 

শ্রাবণের এক বৃষ্টিমুখর দিন
আর পাঁচটা দিনের মতোই-
কোন বিশেষত্ব ছি না,
সেদিন তোমার সাথে শেষ দেখা
দাঁড়িয়ে তোমার যাওয়া দেখলাম
দিনটা বিশেষ হয়ে গেল।

কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | এসো স্পর্শ করো

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | এসো স্পর্শ করো
অমিতাভ দাশগুপ্ত
 
এসো স্পর্শ করো
 

এসো।
ছোঁও।
সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা, দ্যাখো।
পাথরের বুক থেকে মাংস নাও,
পাঁজরের রিডে রিডে চাপ দাও দশটি আঙুলে,
আমাকে বাজাও তুমি বিঠোফেন-বালিকার হাত,

ডিভোর্সীর প্রেম | মোঃ আব্দুল রহমান

বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
মোঃ আব্দুল রহমান
 
ডিভোর্সীর প্রেম
 

ফেলে আসা অনুভূতিরা ডাকছে এখনো
হৃদয়ে লবণাক্ত জলের হ্রদে হাবুডুবু খাচ্ছে
পরিত্যক্ত শব্দের কথামালা—
বিরহ আবেগ ব্যাকুলতা সাঁতার কাটে রোজ
পূর্ণিমার চাঁদ যেন কলুষিত আজ প্রাণে প্রাণে।

আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের দিন | সুস্মিতা পাল

বাতায়ন/ডিভোর্স/অনুবাদ কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | অনুবাদ কবিতা
সুস্মিতা পাল
 
আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের দিন
 
মূল কবিতা- রুথ লেপসন
দ্য ডে অফ আওয়ার ডিভোর্স হিয়ারিং
 

রেস্তোরাঁয় দুপুরে দারু খাওয়ালে!
পরস্পর আমরা বোধহয় এত মরমী
আগে কখনো ছিলাম না।

সে কি তৃপ্ত— ?


Popular Top 10 (Last 7 days)