সম্পাদকীয়
লোক দেখানো বাহুল্যতা অপছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ। এই মুহূর্তে তাঁর দু’টি কবিতার কথা বলা যেতে পারে, ‘রথযাত্রা’ এবং ‘আগমনী’। তা বাদেও তাঁর বিভিন্ন রচনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একটা কথা ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক। গ্রহণীয় যা তা অন্তর থেকেই গ্রহণ করা উচিত।
বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন , ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয় প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...
সম্পাদকীয়
লোক দেখানো বাহুল্যতা অপছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ। এই মুহূর্তে তাঁর দু’টি কবিতার কথা বলা যেতে পারে, ‘রথযাত্রা’ এবং ‘আগমনী’। তা বাদেও তাঁর বিভিন্ন রচনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একটা কথা ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক। গ্রহণীয় যা তা অন্তর থেকেই গ্রহণ করা উচিত।
মেলে দিলাম পাখা…
লেখালিখি বহু দিন করি না কিন্তু বাতায়ন অনলাইন পত্রিকার দৌলতে আজ একটু নিজের কথা লিখতে ইচ্ছে হল। আমি কোনও বিধিবদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত আর্টিস্ট নই, শুধু মাত্র নিজের ভাল লাগে তাই একটু ছবি আঁকি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভীষণ ভালবাসতাম কিন্তু শিখে ওঠা হয়নি কোনদিন। যেটুকু পরিচিতি পেয়েছি তাতেই আমি খুশি। তবে বহু দিন পরে ছবি আঁকা শুরু করতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে।
শূন্য সত্য
সে এক প্রেম...
প্রিয় সই,
অনেকদিন পর আবার কলম ধরলাম। সব কিছু কী আর ফোনে বলা যায় নাকি! জানি না যায় কিনা, আমি তো পারি না একদম। আজ বাইরে বেরুতে পারলাম না। ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে। তাই ভাবলাম লিখেই ফেলি। ভাল আছিস জানি। জানতে চেয়েছিলি আমার হঠাৎ বিয়ের কাহিনি। আজ লিখি...
তৃষ্ণা বিষয়ে জলের হিসাব
মানব সরোবরে জন্মের ইতিহাস ঘুমিয়ে
এটা কারো ভোলার কথা নয়!
সরোবরের জলকণাগুলো বিশেষ নিয়মে চলাচল করে,
কোথায় যেন দেখলাম বহু পুরাতন তৃষ্ণা আধুনিক সমাজের
চিন্তা মাথায় নিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছে।
বাতায়ন/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/১১তম সংখ্যা/৮ই আষাঢ়, ১৪৩০
গোপীনাথের মেলা
আজ এক ক্লাস সিনিয়র প্রশান্তদার সঙ্গে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের মেলা দেখতে এসেছে অজন্তা। দু’জনেই কালনা কলেজে পড়ে। প্রশান্তর অগ্রদ্বীপের গ্রামে মামার বাড়িতে শৈশব কেটেছে। এই গ্রাম আর মেলার কত গল্প শুনেছে অজন্তা। প্রশান্ত অজন্তাকে এর আগেও কয়েকটা মেলায় নিয়ে গেছে। প্রশান্তর নামের সঙ্গে স্বভাবের মিল আছে। প্রশান্তর বিভিন্ন মেলায় ঘুরে বেড়ানোর শখ। মেলায় বিভিন্ন মানুষজন ও জীবনযাত্রা দেখা যায়। প্রশান্তর মতো মুক্ত মনের ছেলে অজন্তা দেখেনি।
বাতায়ন/ধারাবাহিক/১ম বর্ষ/১১তম সংখ্যা/৮ই আষাঢ়,
১৪৩০
মুছে যাওয়া দিনগুলি
পিকলু বলল, “বাপি তোমার লেখার টেবিলে একটা চিঠি আছে।” সুকোমলের ছেলের নাম পিকলু। সুকোমল টেবিলের কাছে এসে দেখল চিঠিটা। আশ্চর্য হয়ে গেল চিঠিটি দেখে। চিঠির কথা শুনে ভেবেছিল কোন সাহিত্য সভার চিঠি হবে।
বৃষ্টি
না বলা কথা
বেলা যখন অস্তাচলে তখনই নাকি প্রেমের কথা মুখে-গলায় এসে থমকে থাকে। বমি হওয়ার মতো প্রেমিক- প্রেমিকা একত্রিত হলে গড়গড় করে বলে পরস্পরকে। এমন সব কথা সে কথা আর কাউকে বলা যায় না।
ধর্মফল
চরিত্র
সুকান্তবাবু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলমাষ্টার, বিপত্নীক। পেনশনের টাকায় সংসার চালান। একটি মাত্র ছেলে, কলেজে পড়ায়, তার টাকা তিনি নেন না। নিপাট ভদ্রলোক। অনেক গুণ। শিল্প-সাহিত্য বোঝেন, সংস্কৃতিবান, ভাল আবৃত্তি করেন, সুরসিক, অমায়িক মানুষ। দোষের মধ্যে তার একটি, সবার হাঁড়ির খবর রাখেন। পরনিন্দায় খুব আনন্দ পান।
রাজা অয়দিপাউস
প্রাচীন গ্রিসের একটি রাজ্যে ইডিপাস বা অয়দিপাউস খুবই মহানুভব রাজা ছিলেন। সবসময় তিনি প্রজাদের কল্যাণের কথা ভাবতেন এবং প্রজাদের কল্যাণের জন্য কাজ করতেন। তথাপি তাঁর রাজ্যে দুর্ভিক্ষ-খরা-বন্যা লেগেই ছিল। সব দেখেশুনে রাজা অয়দিপাউস তার রাজ্যের সব পণ্ডিতকে ডেকে সমাধানের পথ জানতে চাইলেন। পণ্ডিতেরা পাঁজিপুথি দেখে অয়দিপাউসকে জানালেন, তার একটি ভয়ানক পাপের জন্য রাজ্যে বিধাতার এত অভিশাপ। অথচ রাজা জ্ঞানত কোনো পাপ করেননি, তবে কী ছিল সেই রহস্য? তা' উদ্ঘাটনের জন্য সাক্ষিসাবুদ হাজির করে অবশেষে জানা গেল আসল সত্য।
আলোর অধিকার
প্রকৃত অর্থে অন্ধকারের জীব ব্যতীত আলোর অধিকারী সকলেই। সে জ্ঞান, শিক্ষা বা সৃষ্টির আলো যাই হোক-না কেন। তাতে যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা কৃত্রিম ভাবে অনালোকিত বস্তু-বিষয় বা জীবকে আলোকিত দেখানোর চেষ্টা করে সেই মেকি প্রচেষ্টা শুধু অন্যায়ই নয় তা সৃষ্টিকে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায়।
ডড্ ও মদ
ডড্
স্বপ্ন ইভের, আদম স্বপ্ন দেখে
ধূমকেতু
অর্জুনের প্রতি উলুপী
হে পরমপুরুষ অর্জুন,
জানি না, আজ আর আমার কথা আপনার মনে আছে কিনা... তবুও আজ বহু কাল বাদে এই প্রথমবার আপনার উদ্দেশ্যে পত্র লিখতে বসলাম।
অক্ষরবৃত্ত ঘোর
তুই কী আর ফোন করার সময় পাস না— স্মিতা রেগে গিয়ে দুম করে ফোনটা কেটে দিল। কয়েকদিন ধরে স্মিতার মেজাজটা যেন খিটখিটে। অস্বাভাবিক লাগছে স্মিতাকে। স্মিতা তো ও-রকম মেয়ে নয়। হাসিখুশি এক পুতুল পুতুল মেয়ে। কেন যে এ-রকম হল কে জানে?
দেখা
এসো হে বন্ধু, বন্ধু হই
স্মার্টফোনের কুপ্রভাব
স্মার্টফোনের কুপ্রভাবে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত? সমস্যাকে চিনুন, প্রতিকার করুন, সঙ্গে রয়েছেন বিশিষ্ট মনোবিদ
নীল বৃত্তচাপের ঘোড়া ও আদিম
স্নানাগারের বিভূতি রমণ সমগ্র
আগুনের মতো আমাদেরও শরীর জুড়ে ২৪ ঘন্টায় দুই বার
পেন্ডুলামজনিত ছটা বাইশ বাজতেই বুকের ভেতরে যান্ত্রিক শক্তির স্থিতিস্থাপক আগুনগুলো
আমাদের মাথার চার পাশে পেঁচানো শিং হয়ে মহাজাগতিক হয়ে যাচ্ছে, কোন উচ্চ রক্তচাপের
বলয় নেই কোন আগুন নেই কোন আগুনের মতো বৃত্তচাপ নেই আমার
জিভ আছে অথচ ধ্বংসাত্মক হরপ্পা নেই এই উপত্যকায় এলে প্রতিটি মানুষ আঙুর ফলের চাষাবাদ করে লাল মোহনায় নেমে যায় এক
অদ্ভুত ক্ষত্রিয় পুরুষদের মতো, তাদের অন্ধকারকে কুপিয়ে কুপিয়ে আমি কিছু নয়নতারা
ফুলের চারাগাছ আর হলুদ নৌকা লাগিয়ে যাচ্ছি একাদশ মন্বন্তর অবধি
ইউক্রেন
পূর্বানুবৃত্তি ছোটবেলা থেকেই ভূগোল তিতিরের প্রিয়। অন্যান্য বিষয়ে খারাপ না হলেও ভূগোলের প্রতি অন্য রকম এক টান। ম্যাপ রিডিং-এর সময় মনে মনে নানা দেশে ঘুরে বেড়ানো। ‘সোভিয়েত দেশ’ পত্রিকা ও পত্রিকার ক্যালেন্ডারের দৌলতে দেশটাকে বিশেষ ভাবে ভালবেসে ফেলা। বাবার বন্ধুর ছেলে উৎসবদাকে ভালবেসে ফেলে তিতির। তারপর…
ভুল
নদী যদি বন্ধু হয়
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরে আমার বাবা ঈশ্বর অনিল কুমার দত্ত ছিলেন একজন নাট্য ব্যক্তিত্ব, নাট্য পরিচালক, সংগীত শিল্পী, সাংবাদিক, পত্রিকা সম্পাদক। বাবার নিজস্ব দল রূপশিল্পী। ফলে ছোট থেকেই নাচ, নাটক, আবৃত্তির মধ্যেই বড় হওয়া। মাত্র তিন বছর বয়সে ‘ভানু সিংহের পদাবলী’তে ‘শিশু কৃষ্ণ’ হিসেবে মঞ্চে পদার্পণ।
আপন প্রাণ বাঁচা!
বিগত অন্তত তিরিশ-চল্লিশ বছরে যে-কোন আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর প্রায় সব বাঙালিই ছোটবেলা থেকে ইঁদুর দৌড়ে একটা লক্ষ্যে স্থির হয়ে আছে, অন্যের কথা না ভেবে যে ভাবে সম্ভব নিজেরটা বুঝে নিতে। কে শিখিয়েছে? অবশ্যই অভিভাবক, সমসাময়িক সমাজ, সরকার-প্রশাসন সকলেই। দেশের কথা, দশের কথা বাকিরা ভাবুক।
জলছুঁই
সেই সব সারেগামা পেরিয়ে
ইউক্রেন